নাটোর অফিস॥
নাটোরের বড়াইগ্রামে হাতুড়ে গাইনী ডাক্তার ফরিদা বেগমের বিচার দাবীতে বৃহস্পতিবার থানা, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বনপাড়া পৌর মেয়রের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ নারীর স্বামী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বনপাড়া পৌরসভার গুড়রশৈল গ্রামের ভ্যানচালক নুর আলমের স্ত্রীকে গত ১০ অক্টোবর নরমাল ডেলিভারীর জন্য বনপাড়া পাঠানপাড়া এলাকার জনৈক হাতুরে ডাক্তার ফরিদা বেগমের কাছে নিয়ে আসেন। এসময় তিনি ডাক্তারকে বলেন নরমাল করতে নাপারলে তিনি স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যাবেন। কিন্তু ফরিদা বেগম দায়িত্ব নিয়ে নরমাল ডেলিভারী করাতে গিয়ে কমপ্লিট টিআর (মলদ্বার ও মাসিকের দ্বার) ছিরে একত্র করে ফেলেন। পরে তার কাছে গেলে তিনি কোন সহযোগিতা না করে উল্টো হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেন।
অভিযুক্ত ফরিদা বেগম বলেন, আমি প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ধাত্রী। ডেলিভারীর সময় একটু সমস্যা হয়ই। পরে ঠিক হয়ে যায়। এ নিয়ে এতো মথা গরম করার কিছু নাই।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. পরিতোষ কুমার রায় বলেন, এ ধরণের কোন গাইনী ডাক্তার আছে বলে জানা নাই। মানুষ হাসপাতালে না এসে গ্রাম্য ডাক্তারের কাছে গিয়ে ঝামেলায় জড়িয়ে পরে ঠিকই হাসপাতালে আসে।
বনপাড়া পৌর মেয়র জাকির হোসেন বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও থানার অফিসার ইনচার্জকে অনুরোধ করা হয়েছে।
বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।