নাটোর অফিস ॥
নাটোরের বড়াইগ্রামে মসজিদের যাওয়ার পথে বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। উপজেলার চান্দাই ইউনিয়নের দাসগ্রাম কান্দিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কাউসার আহেমেদসহ ৭ জনের নামে বড়াইগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সরেজমিন পরিদর্শনে দেখাযায়, দাসগ্রাম ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষের হযরত আলী বাবা ১৯৭৮ সালে মসজিদের পাশের একটি জমি কাওমি মাদরাসায় দান করেন। দানে শর্ত ছিল যদি মাদরাসা বন্ধ হয়ে যায় তাহলে জমি মুল মালিক ফেরত পাবেন। জমি দান করার কয়েক বছর পরেই মাদরাসা বন্ধ হয়ে যায়। সেই থেকে অধ্যক্ষ হযরত আলী জমিটি ভোগদখল করে আসছেন। সম্প্রতি ওই জমিতে ঘর নির্মাণ শুরু করলে গত শনিবার স্থানীয় কিছু ব্যাক্তি তাতে বাধা দেয় একই সাথে মসজিদের রাস্তায় বেড়া দিয়ে প্রতিবন্ধীকতা সৃষ্টি করে। এতে বিপাকে পরে মসজিদের মুসল্লীগণ ও পাশে যাতায়াত করা অন্তত ৪০ পরিবারের মানুষ।
মসজিদের প্রবীণ মোয়াজ্জিন সবেত মোল্লা বলেন, আমি ৬০ বছর ধরে এই মসজিদে মোয়াজ্জিনী করছি। আমার জন্মেরও আগে থেকে এই দিক দিয়ে রাস্তা ছিল এবং এই রাস্তা দিয়ে মানুষ যাতায়াত করত। এই রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মুসল্লীরা মসজিদে নামাজ আদায় করতে পারছেনা।
আব্দুল করিম, হাফিজুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন বলেন, বহুবার এই রাস্তা খুলে দিয়ে মুসল্লীদের নামাজ করতে দিতে অনুরোধ করেছি। কিন্তু তারা কথা শুনছেন না।
অভিযোগ তদন্তকারী বড়াইগ্রাম থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক রবিউল ইসলাম বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে মসজিদের বারান্দা দিয়ে রাস্তার ব্যবস্থা করেছি। জমির মালিকানার কাগজপত্র নিয়ে থানায় আসতে বলেছি। বাদী থানায় উপস্থিত হলেও বিবাদীগণ কেউ আসছেন না তাই বিষয়টি বিলম্বিত হচ্ছে।