নাটোর অফিস॥
নাটোরের বড়াইগ্রামে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে আল আমিন হক বাবু নামে এক যুবককে মধ্যযুগীয় কায়দায় হাত পা বেধে নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কিডনিতে আঘাত প্রাপ্ত ওই যুবক বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এদিকে এ ঘটনায় মামলা হওয়ার পর দুজন আসামী আটক হলেও তারা জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর এবং অন্য আসামীরা আটক না হওয়ায় ওই যুবকের পরিবারকে প্রকাশ্যে নানা ধরনের হুমকি প্রদান করছে বলে অভিযোগ নির্যাতিত যৃবকের পরিবারের । তারা জীবনের নিরাপত্তা ও দোষীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু বিচারের দাবী জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার নাটোরের একটি মিডিয়া হাউজে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এমন অভিযোগ করা সহ নিরাপত্তার দাবী জানান নির্যাতিত ওই যুবকের পরিবার। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আহত আল আমিন হক বাবুর চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা মুমিনুল হক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাবুর দুলা ভাই নজরুল ইসলাম , পৌর কাউন্সিলর শরীফুন্নেসা শিরীন ও চাচা সাইফুল ইসলাম।
লিখিত বক্তব্যে বাবুর চাচা বলেন , বনপাড়া পৌর এলাকার রশিদ ডিলারের মোড়ের আব্দুল আজিজের মেয়ে তাসলিমা খাতুন এর সাথে তার ভাতিজার বিবাহ বিচ্ছেদের পর থেকেই ওই মেয়ে ও তার পরিবার প্রতিশোধ প্রবণ হয়ে নানা ভাবে বিভিন্ন কৌশলে বাবুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে থাকে। এর পর্যায়ে গত ২৬ আগষ্ট বাবুকে কৌশলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে মেয়ের মা সহ পরিবারের লোকজন হাত পা বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় ২ ঘন্টা শারিরিক ও মানসিক নিযার্তন করে। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় আমেনা হাসপাতাল ও পরে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তার দুইটি কিডনি নষ্টের পথে সেখানে সে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তরের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। এ ঘটনায় মামলার পর পুলিশ মেয়ে ও তার মাকে আটক করলেও তারা জামিনে ছাড়া পেয়েছেন। অজ্ঞাত কারণে অন্য আসামীদের আটক না করায় তারা বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে আসছে।
বর্তমানে বাবুর চিকিৎসা যেমন হুমকিতে পড়েছে তেমনি জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে তার পরিবার। তাই অবিলম্বে আসামীদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দাবী করেন তারা।