নাটোর অফিস॥
নাটোরের গুরুদাসপুরের বিভিন্ন ক্লিনিকে অনিয়মের অভিযোগে ৪ লক্ষাধিক টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। বুধবার উপজেলার বিভিন্ন ক্লিনিকে নানা অনিয়মের অভিযোগের অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে ক্লিনিকগুলোতে এ্যানেস্থেশিয়া চিকিৎসক, আবাসিক চিকিৎসক, উপযুক্ত প্যাথলজিষ্ট নেই। এছাড়া অপারেশন থিয়েটারসহ সার্বিক পরিস্থিতি চিকিৎসা সেবার অনুপযোগী হওয়ায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে এসব জরিমানা আদায় করা হয়। এসময় হাজেরা ক্লিনিকের মালিককে ২ লাখ, চাঁচকৈড় বাজারের আল্পনা ক্লিনিকের মালিককে ১ লাখ, চলনবিল ক্লিনিককের মালিককে ৫০ হাজার, তানিয়া রাইন ক্লিনিকে ৭৫ হাজার টাকা এবং চাঁচকৈড় বাজারের সরকার ফার্মেসির মালিক নাজমুল হাসানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ আবু রাসেলের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ আবু রাসেল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান গুরুদাসপুর উপজেলার বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে (ক্লিনিক) নানা অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানে ক্লিনিকগুলোতে এ্যানেস্থেশিয়া চিকিৎসক, আবাসিক চিকিৎসক, উপযুক্ত প্যাথলজিষ্ট নেই। এছাড়া অপারেশন থিয়েটারসহ সার্বিক পরিস্থিতি চিকিৎসা সেবার অনুপযোগী হওয়ায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে এসব জরিমানা আদায় করা হয়।
উল্লেখ্য চলতি বছরের ৩০ আগষ্ট হাজেরা ক্লিনিকে সিজারিয়ান অপারেশানে প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। এঘটনায় এলাকাবাসীর মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করে। এই ক্লিনিকে ১০ টি বেডের অনুমতি থাকলেও ২২ বেডে রোগীদের চিকিৎসা চালিয়ে আসছিল। এই অভিযানের সময় ১২ টি বেড রোগীসহ তালাবদ্ধ করে রেখে আদালতের কাছে গোপন করার চেষ্টা করা হয়।
অভিযানে থাকা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোজাহিদুল ইসলাম বলেন, কাগজপত্র অনুযায়ী হাজেরা ক্লিনিকে ১০টি বেড থাকার কথা। কিন্তু হাজেরা ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ নিয়ম না মেনে ২২টি বেড রেখে চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। অভিযানের সময় মোবাইল কোর্টের কাছে ২২টির মধ্যে ১২টি বেড গোপন রাখেন তারা।