নাটোর অফিস॥ নাটোরের সিংড়া উপজেলার ডাহিয়া, ইটালি, কলম, চামারি, শেরকোল লালোর, ছাতারদিঘী, চৌগ্রাম সহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। চলমান বন্যা পরিস্থিতিতে সম্পদ ও জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
সম্প্রতি জেলার ডিসি, এসপি, খাদ্য কর্মকর্তা, বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা, সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তা, সিংড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, কৃষি কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় করে এসব নির্দেশনা দেন সরকারের অন্যতম এই নীতি নির্ধারক।
প্রতিমন্ত্রী পলক ধারণা করছেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বন্যা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হতে পারে।
পলক বলেন, ‘বন্যা পূর্ববর্তী সময়ে আমরা বন্যার প্রস্তুতি কিভাবে গ্রহণ করলে আমার প্রাণের চলনবিলের মানুষদের জানমালের ব্যাপক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করা যায় সে বিষয়ে জেলা এবং উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় সেই সকল এলাকায় প্রয়োজনে গতবারের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হবে। বর্তমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে বন্যাকবলিত এলাকার মানুষদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।
জুনাইদ আহমেদ পলক আরও বলেন, ‘পানি উন্নয়ন বোর্ড, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং স্ব স্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যানবৃন্দদের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে বাঁধের ভাঙ্গন রক্ষায় সেখানে বালির বস্তা দিতে এবং ভবিষ্যতে মেরামতের জন্য ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তা ও এলাকা তালিকাভুক্ত করার জন্য বলা হয়েছে। স্থানীয়দের বন্যা কবলিত এলাকার রাস্তায় ভারী যানবাহন চলাচলে বিরত থাকতে হবে। বন্যা দুর্গত এলাকার মানুষ ও আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মানুষদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন ও ত্রাণ কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ মজুদ রাখার জন্য বলা হয়েছে। উপজেলা জনস্বাস্থ্য ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট এর প্রয়োজনীয় বরাদ্দ ও মজুদ রাখার জন্য বলা হয়েছে। সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সেবা নিশ্চিত করার জন্য বিদ্যুৎ কর্মকর্তাকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে হাসপাতাল ও থানায় জেনারেটরের ব্যবস্থা রাখার কথা বলা হয়েছে।
পলক আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, চলনবিলের মানুষের পাশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বিগত দিনে ছিলেন এবং আগামী দিনেও থাকবেন। ইনশাল্লাহ সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বন্যাসহ সকল দুর্যোগ মোকাবেলায় আমরা সক্ষম হবো।