নাটোর অফিস ও নিজস্ব প্রতিবেদক, নলডাঙ্গা, নাটোর॥
হঠাৎ করেই নাটোরে বেড়ে গেছে কাঁচা মরিচের দাম। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যার অজুহাতে সরবরাহ ঘাটতির কথা জানিয়ে ৪০ টাকা কেজির কাঁচা মরিচ ৫ গুণ বেড়ে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এক লাফে ১৬০ টাকা দাম বাড়ার জন্য সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন ভোক্তারা।
শনিবার (৪ জুলাই) জেলার নলডাঙ্গার সাপ্তাহিক হাটে গেলে এমন অভিযোগ করেন ভোক্তারা।
জানা যায়, সপ্তাহে শনি ও মঙ্গলবার নলডাঙ্গা হাট বসে। গত শনিবার নলডাঙ্গা হাটে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকা কেজি দরে। দু’দিনের ব্যবধানে গত মঙ্গলবার কেজি প্রতি ২০ টাকা বেড়ে মরিচ বিক্রি হয় ৬০ টাকা দরে। ঠিক তিন দিনের ব্যবধানে শনিবার ১৪০ টাকা বেড়ে মরিচ বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকা কেজি।
মরিচের দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীদের দাবি, অতিবৃষ্টির কারণে দেশের বিভিন্ন কৃষিপ্রধান এলাকায় আগাম বন্যা হওয়ায় অন্যান্য ফসলের সাথে পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়েছে কাঁচা মরিচ। ফলে চলতি সপ্তাহে বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ কমে গেছে। যেসব মরিচ এখন বাজারে আসছে তা চাহিদার তুলনায় কম হওয়ায় দাম বেড়ে গেছে। সরবরাহ ঘাটতির কারণে পাইকারি বাজারে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে। তাই বেশি দামে কিনে বিক্রি করতে হচ্ছে।
আজমত আলী নামের এক ভোক্তা বলেন, ‘বিক্রেতারা বন্যার কারণে সরবরাহ ঘাটতি বা পাইকারি মূল্য বৃদ্ধির যে দাবি তুলছেন অযৌক্তিক। বন্যা দুর্গত এলাকার মরিচ এখানে আসে না। ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে মরিচের দাম বৃদ্ধি করছেন।’
কনজুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) বাগাতিপাড়া শাখার যুগ্ম সম্পাদক আল আফতাব খান বলেন, ‘যেকোনো সংকট পুঁজি করে এক শ্রেণির মুনাফালোভি ব্যবসায়ী ভোক্তাদের জিম্মি করে। এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। মরিচের দাম বৃদ্ধির যৌক্তিক কোনো কারণ নেই এখন।’
জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজার মনিটরিং কার্যক্রম চলমান রয়েছে। অভিযোগ পেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। কোনো ব্যবসায়ী অসৎ উদ্দেশ্যে ভোক্তাদের থেকে বাড়তি দাম আদায় করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’