নিজস্ব প্রতিবেদকঃ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ২০২১ সালের মধ্যে ২ হাজার ২০০টি নতুন ডিজিটাল সেবা শুরু করা সম্ভব হবে। ভূমি, ব্যাংকিং থেকে শুরু করে সরকারের মন্ত্রণালয়গুলোর বিভিন্ন ধরনের সেবা যাতে অনলাইনেই পাওয়া যায় সেজন্য কাজ চলছে। জাতিসংঘের ই-গভর্নেন্স সূচকে বাংলাদেশকে ১১৫তম অবস্থান থেকে ‘দুই ডিজিটে’ নিয়ে আসতেও আইসিটি বিভাগ কাজ করছে।
সোমবার তিন দিনের ‘ডিজিটাল মেলা ২০২০’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর ও এটুআই-এর আয়োজনে এবং মাঠপ্রশাসনের সহযোগিতায় রোববার শুরু হওয়া ডিজিটাল মেলা চলবে ৩০ জুন পর্যন্ত।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “বিভিন্ন ধরনের ৬০০ ডিজিটাল সেবা ইতোমধ্যে দেওয়া হচ্ছে। টার্গেট অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে আরও ২২০০ সেবা আমাদের নিয়ে আসার পরিকল্পনায় রয়েছে।”
দেশের তথ্য বাতায়নকে তথ্যসেবার প্ল্যাটফর্মে রূপান্তর করা হচ্ছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, “এর মাধ্যমে ঘরে বসেই সেবাগ্রহিতার পরিচয় যাচাই, সেবার ইন্টার অপারেবলিটি এবং সেবামূল্য দেওয়ায় ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থা নিশ্চিত সম্ভব হবে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে সরকারি ডিজিটাল সেবায় অনলাইনে সরকারি সেবাপ্রাপ্তি, বিল পরিশোধ ও গ্রামীণ উৎপাদনকারীর পণ্য শহরের ক্রেতার হাতে পৌঁছে দিতে ডিজিটাল মিউনিসিপালিটি সার্ভিসেস সিস্টেম ‘একপে’, ‘একসেবা’ ও ‘একশপ’ চালু রয়েছে। একসেবা ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টারে ১৬২টি সরকারি সেবা রয়েছে। পর্যায়ক্রমে ৩ হাজার সেবা এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে।”
পলক বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদের পরামর্শে আইসিটি অবকাঠামো গড়ে তোলার কারণে মাত্র ১১ বছরে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১০ কোটি এবং ছয়শর বেশি সার্ভিস অনলাইনে যুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি ইনফো সরকার প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৩ হাজার ৮০০ ইউনিয়নে ডিজিটাল সেন্টারে হাইস্পিড ব্রডব্যান্ড কানেকশন পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে প্রতি মাসে প্রায় ৬০ লাখ মানুষ ডিজিটাল সেন্টার থেকে সেবা গ্রহণ করছে। প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন সেবা চালুর এই বিষয়গুলো জনগণের কাছে তুলে ধরতেই ডিজিটাল মেলার আয়োজন”।
আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম আরশাদ হোসেন, এটুআই-এর পলিসি এডভাইজার আনীর চৌধুরী, বরগুনার জেলা প্রশাসক মুস্তাইন বিল্লাহ, গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা এবং ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।