নাটোর অফিস॥ মহামারী করোনা পরিস্তিতিতে টানা ৮০ দিন নিজ নির্বাাচনী এলাকা নাটোরে অবস্থান করে ৮১ তম দিনে নাটোর ছেড়ে ঢাকায় গেলেন নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল। দীর্ঘ এই সময় নিজ নির্বাচনী এলাকার গরীব-অসহায়-দুঃস্থদের পাশে থেকে সরকারী সহায়তার পাশাপাশি প্রায় আড়াই কোটি টাকার ত্রাণ সামগ্রী ব্যক্তিগত তহবিল থেকে দিয়েছেন সংসদ সদস্য শিমুল। এই সময় প্রতিটি দিন গাড়ি বোঝাই খাবারের প্যাকেট নিয়ে চষে বেরিয়েছেন এ মুল্লুক থেকে ও মুল্লুক।
ঢাকা যাবার প্রাক্কালে নাটোরবাসীর উদ্দেশ্যে খোলা চিঠি লিখে নিজের জন্য দোয়া চেয়েছেন সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল। তিনি লেখেন-
“প্রিয় নাটোরবাসী, প্রাণঘাতি ( কোভিড-১৯) করোনা ভাইরাস এর কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে সারাদেশে সাধারণ ছুটিতে জনজীবন বিপর্যস্ত। বেকার হয়ে পড়ে হাজার হাজার খেটে খাওয়া মানুষ।গত ২২ মার্চ, সাধারণ ছুটি ঘোষণার আগেই আমি ১৩ই মার্চ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনা ও পরামর্শ নিয়ে ঢাকা থেকে আমার নির্বাচনী এলাকা নাটোরে আসি এবং তারপর থেকে এ যাবত এলাকাতেই আছি। সেই থেকে শুরু, আমি আমার সাধ্যের সবটুকু উজার করে আমার নির্বাচনী এলাকা নাটোর সদর ও নলডাঙ্গা উপজেলার কর্মহারা, অসহায়, দিনমুজুর, খেটে খাওয়া ৫০ হাজারেরও বেশি পরিবারের পাশে দাড়িয়েছি। নিজস্ব অর্থায়নে বিতরণ করেছি প্রায় আড়াই কোটি টাকার খাদ্য সামগ্রী। নিজের জীবনের ঝুকি নিয়ে ছুটে চলেছি দুটি উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামে। প্রাণপণ চেষ্টা করেছি সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘবের। হয়তো সবাইকে সন্তুষ্ট করতে পারি নি। কিন্তু আমি থেমে যাইনি। চেষ্টা করেছি অনবরত। আমি বাবা-মা হারা একজন এতিম মানুষ। যে কারনে এলাকার বয়স্ক যে কোন ব্যক্তিকেই আমি আমার বাবা-মায়ের মতো শ্রদ্ধা ও সম্মান করি। নিজের “মা” মনে করে বাকি জীবনের দ্বায়িত্ব নিয়েছি একাধিক “মা”য়ের। টানা ৮১ দিন এলাকায় অবস্থান করার পর আজ আমি ঢাকা ফিরে যাচ্ছি। আগামী ১০ই জুন তারিখে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে যোগদানের জন্য আমাকে যেতে হচ্ছে। আমি ঢাকা চলে গেলেও আমার মনটা পড়ে থাকবে নাটোর ও নলডাঙ্গা উপজেলার মানুষের মাঝে। আমি সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর রাখবো নাটোরের সার্বিক পরিস্থিতির। আমি “শিমুল বেচেঁ থাকতে চাই” আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসা নিয়ে, আপনাদেরই মাঝে। সবাই ভালো থাকুন,স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন-সুস্থ থাকুন, নিরাপদে থাকুন।”
সংসদ সদস্য শিমুল বলেন, ‘বাজেট অধিবেশন আসন্ন। বেশ কিছু আনুষ্ঠানিকতা রয়েছে। তাই ঢাকায় যেতে হচ্ছে। আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষদের খোঁজখবর রাখবো। সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে অনুরোধ করছি।”