নাটোর অফিস॥
নাটোর সদর উপজেলার কাফুরিয়া ইউনিয়নের দস্তানাবাদ বাদালপাড়ার রাস্তা স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে সংস্কার কাজে অংশ নেয় সমকাল সুহৃদ সমাবেশের স্থানীয় সুহৃদ সদস্যরা। শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের সুহৃদ সদস্যরা বাদালপাড়ার ওই কাঁচা রাস্তায় মাটি ফেলে সংস্কার কাজে অংশ নেয়। মাটির ওই রাস্তার বিভিন্ন স্থানে গর্ত ও পানিকাদায় পরিপুর্ন হওয়ায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে।
করোনা ভাইরাসের কারনে দেশব্যাপী লকডাউনের কারনে স্থানীয়ভাবে সকল উন্নয়ন কাজ বন্ধ থাকায় ওই রাস্তা দিয়ে স্থানীয়দের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছিল। এঅবস্থায় এলাকার সুহৃদ সদস্যরা নাটোর সুহৃদ সমাবেশের সদস্য সচিব মাহতাব আলীর নেতৃত্বে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সহযোগীতায় স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে রাস্থায় মাটি ফেলে সংস্কারের মাধ্যমে রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী করে তোলেন।
এই স্বেচ্ছশ্রম কাজে অংশ নেয়া সুহৃদ সদস্যরা হলেন, মারুফা, হেলাল, খোকন, মান্না, রাফি, তোহা, আরিফ, আব্দুল্লা, সোহেল, আমিন, মানিক, নাঈম, জিহাদ, সাফিন ও আঙ্গুরী।
স্থানীয় সুহৃদ সমাবেশের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন বলেন, এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন অন্তত ছয়শতাধিক পরিবারের মানুষ নাটোর জেলা শহর এবং রাজশাহীর পুঠিয়া ও ঝলমলিয়া বাজারে যাতায়াত করেন। চলতি বর্ষার শুরুতেই রাস্তার বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হলে পানি-কাদাতে পরিপুর্ন হয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। তাই নিজেরাই সুদস্যদের নিয়ে চেয়ারম্যানের সহযোগীতায় স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে রাস্তায় মাটি ফেলে চলাচলের উপযোগী করা হয়।
সংগঠনের সাধারন সম্পাদক ছমির আলী বলেন, মাটির এই রাস্তা দিয়ে পাওয়ার ট্রলি চলাচলের কারনে রাস্তার এই অবস্থা। বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি উন্নয়ন কাজ অর্থ বরাদ্দ পেলে রাস্তাটি সংস্কার করার প্রতিশ্রতি দেন। কিন্তু আমরা আমাদের দুর্ভোগের কথা মনে করে নিজেরাই সংগঠনের ছেলে মেয়েদের নিয়ে রাস্তায় মাটি ভরাট করি।
নাটোর সমকাল সুহৃদ সমাবেশের সদস্য সচিব মাহতাব আলী বলেন এই গ্রামেই তার বাড়ি। রাস্তাটি নিজেরাই সংস্কারের প্রস্তাব করা হলে সংগঠনের স্থানীয় সদস্যরা স্বেচ্ছায় রাস্তাটিতে মাটি ভরাট করার চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করেন। চেয়ারম্যানের সহযোগীতায় রোববার সংগঠনের স্থানীয় সকল সদস্য নিজেরাই মাটি কেটে রাস্তার খানা খন্দ ভরাট করে চলাচলের উপযোগী করে।
ইউপি চেয়ারম্যান ইলিয়াস আলী জানান, চলতি অর্থ বছরের জন্য বরাদ্দ সাপেক্ষে রাস্তাটি সংস্কারের পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারনে সকল কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা মাটি ভরাটের জন্য বললে তাদের কিছুটা সহযোগীতা করা হয়। তারা স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে রাস্তায় মাটি ফেলে চলাচলের উপযোগী করেছে। তাদের এই উদ্দোগ আগামীতে অন্যদের উৎসাহিত করবে।