নাটোর অফিস॥
নাটোরে সংগৃহীত নমুনার রেজাল্ট অর্ধেকের বেশী পেন্ডিং থাকায় শংকিত হয়ে পড়েছেন অনেকেই।
নমুনা দেয়ার পর অনেকের প্রায় দু সপ্তাহ পেড়িয়ে গেলেও রেজাল্ট পাননি। ফলে তারা অজানা শংকা নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে নমুনা প্রদানকারী এক ব্যক্তি বলেন, তিনি সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রে গত মাসের ২৭ তারিখে নমুনা দিয়েছেন। কিন্তু আজ অবধি তার কোন রেজাল্ট আসেনি।
এমন অভিযোগ অনেকের।
জেলা সিভিল সার্জন অফিস সুত্রে জানাযায়, এপর্যন্ত নাটোর জেলা থেকে ৮৪০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভাইরোলজি বিভাগে পাঠানো হয়। এর মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রেজাল্ট পাওয়া গেছে ৩৩৪টি। এর মধ্যে তিন দফায় ১০ জনের রেজাল্ট পজেটিভ এবং ৩২৪ জনের রেজাল্ট নেগেটিভ। পেন্ডিং রয়েছে ৪৮৯টির রেজাল্ট। এছাড়া ১৭টি অকার্যকর হয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার নতুন করে আরো ৫৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ফলে নতুন ও পুরাতন সহ ৫৪৮ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভাইরোলজি বিভাগে রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট বিভাগ সুত্রে জানা যায়, মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট(ল্যাব) সংকটের কারনে পরীক্ষার ফলাফল পেতে দীর্ঘ সময় লেগে যাচ্ছে। বর্তমানে নমুনা সংগ্রহ বেড়ে গেছে।
ইতিমধ্যে রাজশাহীর ল্যাবে দুই শিফটে কাজ করেও সময় মত রেজাল্ট দিতে পারছেন না কর্মরত টেকনোলজিষ্টরা। রাজশাহী সহ ৫ জেলার করোনা নমুনা পরীক্ষা করার কারনে জটের সৃষ্টি হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট অপর একটি সুত্র জানায়, এই জটের কারনে কিছু কিছু নমুনা অকার্যকর বা ইনভ্যালিড হয়ে যাচ্ছে। ফলে অনেক ক্ষেত্রে কিছু কিছু নমুনা পরীক্ষার জন্য রাজশাহী ভাইরোলজি বিভাগ থেকে ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে।
নাটোরের সিভিল সার্জন ডাঃ মিজানুর রহমান অর্ধেকের বেশী রেজাল্ট পেন্ডিং থাকার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রাজশাহীতে এবিষয়ে তিনি যোগাযোগ করলে তারা দ্রুত পেন্ডিং রেজাল্টগুলো পাঠাবেন বলে জানিয়েছেন।
বিষয়টি সম্পর্কে স্থানীয় সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলকেও অবহিত করেছেন বলে জানান তিনি।