নাটোর অফিসঃ
দেশে করোনা প্রতিরোধে এক মাসেরও অধিক সময় ধরে চলছে সাধারণ ছুটি ও লকডাউন। দীর্ঘ এ সময় ধরে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার দিন এনে দিন খাওয়া বহু মানুষ।
এসব কর্মহীন মানুষদের কারো কারো অভিযোগ এক মাসের বেশি সময় হতে চললেও তারা এখনও পাননি কোনোরুপ সরকারী খাদ্য সহায়তা।
দারিদ্রক্লিষ্ট এসব মানুষ ভবিষ্যত অনাগত দিনগুলোতে আহারের তাড়নায় বের হয়েছেন তত্রাণ সহায়তার খোঁজে।
স্থানীয় সচেতন নাগরিকদের ভাষ্য, বাগাতিপাড়ায় প্রকৃত অভাবগ্রস্ত পরিবারগুলোর তালিকা ঠিকমতো করা হয়নি। ত্রাণ বিতরণে প্রকট সমন্বয়হীনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদগুলো একসাথে কাজ করছে না।
রোববার শতাধিক বঞ্চিত মানুষ ত্রাণের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন।
তবে তাদের সাথে দেখা না করে চলে যান বাগাতিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াংকা দেবী পাল।
এসব মানুষ বলছেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দেখা এবং ত্রাণের ব্যাপারে কোনো আশ্বাস না পেয়ে শেষ পর্যন্ত তারা খালি হাতে বাড়ি ফিরেছেন তারা।
তমালতলার চক হরিরামপুর গ্রামের বৃদ্ধা সালেহা বেগমের ঘরে পঙ্গু স্বামী। উপার্জনক্ষম কোনো মানুষও নেই পরিবারে।
সালেহা বেগমের বলেন, ‘আমি বয়স্ক মানুষ কাজও করতে পারিনা, আগে যেটুকু করতাম করোনা আসায় তাও বন্ধ হয়ে গেছে। আমাকে কেউ কোন সাহায্য করেনি। আমি বয়স্ক ভাতাও পাইনা। কেউ কোন খোঁজ খবরও না রাখায় এখন মহাবিপদে আছি।’
একই অবস্থা ফাগুয়াড়দিয়াড় ইউনিয়নের জলি বেগম, বেগুনিয়ার শাহিদা বেগম ও কলাবাড়িয়ার হালিমা বেগমের।
উপজেলায় এ যাবৎ ত্রাণ বিতরণের ব্যাপারে বক্তব্য জানতে ফোন করা হয় ইউএনও প্রিয়াংকা দেবী পালকে। তবে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
উপজেলা চেয়ারম্যান অহিদুল ইসলাম গকুল বলেন, ‘কিছু মানুষ এসে ত্রাণ চেয়ে গেছে এটা সত্য। প্রতিদিনই মানুষ আসে। ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায়ে তালিকা তৈরীতে অনিয়ম হতে পারে। আমার কাছে যারা আসে তাদের ব্যক্তি উদ্যোগে হলেও সহায়তা করি।