নাটোর অফিসঃ
মহামারী করোনা সংক্রমণ রোধে ১১ জন কয়েদিকে মুক্তি দিয়েছে নাটোর জেলা কারা কর্তৃপক্ষ।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ নির্দেশনা এসব কয়েদির মুক্তিতে কাজ করেছে। তবে ধর্ষণ বা হত্যা মামলার কোনো সাজাপ্রাপ্ত কোনো কয়েদিকে মুক্তি দেওয়া হয়নি।
নাটোরে মুক্তিপ্রাপ্ত এসব কয়েদিরা লঘু অপরাধে দন্ডিত বিশেষ করে এক মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হিসেবে কারান্তরীণ ছিলেন।
দেশের বিভিন্ন জেলায় একইভাবে মুক্তিলাভ করেছেন এমন অনেক কয়েদি।
রোববার(৩রা মে) এসব কয়েদিদের মুক্তি দেয়া হয়।
নাটোরের জেল সুপার আব্দুল বাবেক জানান, এক মাস থেকে এক বছর সাজা ভোগ করেছেন এমন ৬২ জন কয়েদির নাম সুপারিশ করে গত এপ্রিলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। সেখান থেকেই যাচাই–বাছাই শেষে প্রেরিত নির্দেশনার আলোকে নাটোর কারাগারের ১১ কয়েদিকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।
নাটোর জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটার বিজ্ঞ আইনজীবী এডভোকেট সিরাজুল ইসলামের মতে, জেলার কতজন মুক্তি পেতে পারেন, সেটা বিবেচনা করা হয় আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত ও প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষরের পর।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ শাহরিয়াজ বলেন, গত ডিসেম্বরে মুক্তির সুপারিশ জানিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে একটি তালিকা পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু এসব করোনা সংক্রমণকে সামনে রেখে নয়। এসব তালিকা নিয়মিত পাঠানো হয়। ওই তালিকা মাদক, ধর্ষণ ও খুনের মামলা বাদ দিয়ে দেয়া হয়। এতে অচল–অক্ষম, অন্ধ, পঙ্গু ও দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত বন্দীর মুক্তির প্রস্তাব জেলা কমিটি হয়ে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়ে থাকে।