নাটোর অফিস॥
আকস্মিক শিলা বৃষ্টিতে চলনবিল অধ্যুষিত নাটোরের সিংড়া উপজেলার রামানন্দ খাজুরা, ছাতারদিঘী ও সুকাশ ইউনিয়নে পাকা-আধাপাকা বোরো ধানসহ বিভিন্ন বাড়ি-ঘর ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
মৌসুমের প্রথম প্রায় ৩০ মিনিটের ঝড়ে বুধবার(২২শে এপ্রিল) বিকেলে তিন ইউনিয়নের বেলতা, পাঁচপাকিয়া, মালকুড়, থেলকুড়, কুচাইকুরি, এলাকাগুলোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
ক্ষতিগ্রস্তদের দাবী, ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে প্রায় এক হাজার ৮০০ হেক্টর জমির ২৫-৩০ ভাগ ধান নষ্ট হয়েছে। শিলার আঘাতে মাটির সঙ্গে নুইয়ে পড়েছে উঠতি ফসল গম, মসুর, ভূট্টা, পেঁয়াজ, রসুন, ধানসহ বিভিন্ন ফসল ও সবজি। ঝড়ে গেছে সজনে ও গুটি আম। কোনো কোনো বাগানে ভেঙ্গে পড়েছে আম গাছের ডালপালাও। ফসলের পাশাপাশি কাঁচা ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘরের দেয়াল ভেঙে গেছে, উড়ে গেছে ছাউনি। তিন ইউনিয়নে শতাধিক বাড়ির টিনের চালা ফুটো হয়ে গেছে। সবমিলিয়ে সহস্রাধিক পরিবার এ ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
ছাতারদিঘী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলতাব হোসেন আকন্দ জানান, স্থানীয় রামনগর, ছাতারদিঘী, খন্দকার বড়বাড়ি এলাকায় উঠতি বোরো ধান নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া তাঁর ইউনিয়নের কয়েকটি ওয়ার্ডে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার সাজ্জাদ হোসেন জানান, প্রায় ১৫০০ শ হেক্টর জমির ফসলহানির খবর পেয়েছি। সরেজমিনে গিয়ে পরিদর্শন করবো।
এ ব্যাপারে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকসহ স্থানীয় ১১০০ পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ত্রাণ সহায়তা পৌছে দিতে স্থানীয় চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তাবৃন্দকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্থ ঘরবাড়ি নির্মাণের জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে টিন ও অর্থ সহায়তা পৌছে দেয়া হবে।’