আশরাফুল ইসলাম, বড়াইগ্রাম,নাটোর॥
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর বিদ্যুৎকর্মীরা ‘আলোর গেরিলা’ হয়ে মাঠে নেমেছেন।
পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) নির্দেশনায় দেশের সকল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কর্তৃক নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতের অংশ হিসেবে এ কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।
সমিতির আওতায় ২৬টি গেরিলা দল গঠন করা হয়েছে। আলোর গেরিলাদের কল্যাণে সমিতির আওতায় থাকা চার লাখ গ্রাহক নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা পাবেন।
জানা যায়, বিদ্যুতের গ্রাহক সম্প্রসারণে সারাদেশে ‘আলোর ফেরিওয়ালা’ মাঠে নামিয়েছিল আরইবি। আবেদনের মাত্র পাঁচ মিনিটে বিদ্যুত সংযোগ দিয়ে সারাদেশে সুনাম কুড়িয়েছিল সংস্থাটি।
এবার বিতরণ ব্যবস্থাকে গ্রাহকবান্ধব করতে ‘আলোর গেরিলা’ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গ্রীষ্মের প্রচণ্ড তাপদাহে গ্রামীণ জনপদে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের মাত্রা বেড়ে যায়। আবার ঝড়-বৃষ্টিতে দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকে। উৎপাদনে ঘাটতি না থাকলেও বিতরণের এই চিত্র সবাইকে হতাশ করে। গ্রাহকদের ভোগান্তি এড়াতে আলোর গেরিলা সেবাটি ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ সূত্রে জানা যায়, আরইবিবির নির্দেশনা মোতাবেক শনিবার থেকে মাঠে নেমেছে আলোর গেরিলা দল। এই সমিতির সদর দপ্তরে (নাটোর পবিস-২) ৪টি, জোনাল অফিস চারটিতে তিনটি করে ১২টি এবং দশটি অভিযোগ কেন্দ্রে ১টি করে মোট ২৬টি গেরিলা দল গঠন করে অভিযান শুরু হয়েছে।
প্রতিটি গেরিলা দলে মূল/বিকল্প ইউনিট প্রধান একজন, লাইনম্যান দুইজন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের (সুপার ভাইজার/ ফোরম্যান/ লাইনম্যান) দুইজন, নিয়মিত/প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত গ্রামের ইলেকট্রিশিয়ান দুইজন রয়েছেন।
এই পাঁচজনের বাইরে প্রয়োজন অনুসারে শ্রমিক নেওয়া যেতে পারে। প্রত্যেকটি ইউনিটে একের অধিক গেরিলা দল গঠন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
বিদ্যুত বিভ্রাটের খবর পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে রওনা দেবে একটি গেরিলা দল, একই সাথে অন্য একটি দল প্রস্তুত থাকবে। এর বাইরে অন্যান্য গেরিলা দল এমনভাবে প্রস্তুত থাকবে যাতে ১৫ মিনিটের মধ্যেই তারা প্রস্তুতি নিয়ে ঘটনাস্থলে যেতে পারে।
দলগুলো ১২ ঘণ্টার শিফটিং সিস্টেমে ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করবে। প্রতিটি শিফটে একবার করে সমিতির ব্যয়ে দুপুর /রাতের খাবার সরবরাহ এবং রমজান মাসে ইফতার, রাতের খাবার ও সেহেরি সরবরাহ করা হবে।
সমিতির মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মোমিনুল ইসলাম বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া, আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিবর্গের অবস্থান আরামদায়ক করা, দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সেচ কার্যক্রম নির্বিঘ্নে পরিচালনা করা, শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া এবং গ্রীষ্মের এ দিনে রোজাদারদের সিয়াম সাধনা আরামদায়ক করতে আরইবির নির্দেশনায় আলোর গেরিলা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।