নাটোর অফিসঃ
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দেশের নিম্ন আয়ের মানুষদের অন্তত দু’মুঠো ভাত খেয়ে বাঁচার ব্যবস্থা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ লক্ষ্যে বিক্রি শুরু হয়েছে ১০ টাকা কেজি দরে চাল। সরকারে এই খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীতেও বাঁধ সেধেছে লুটেরা জনপ্রতিনিধি ও লোভী ডিলাররা। তারা এই মহামারীতেও ব্যস্ত গরীবের চাল চুরি করে বিক্রিতে।
মাঠ পর্যায়ে চাল বিক্রির সাথে জড়িতদের ব্যাপারে আসা শুরু হয়েছে নানা অভিযোগ। তাই এবার মাঠে নেমেছেন খোদ জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ। কে গরীব আর কে প্রকৃত অভাবী, তা যাচাইয়ে প্রতিদিন বের হচ্ছেন জেলা প্রশাসক।
সূত্র জানায়, নাটোর জেলার ৭টি উপজেলায় নায্যমূল্যের বিক্রির ১০ টাকা কেজির চাল যেনো প্রকৃত অভাবীরাই পায়, তা নিশ্চিত করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের কড়া নির্দেশনা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। সম্প্রতি পরপর দুই দিন সিংড়ার সুকাশ ইউনিয়নে ৬১ বস্তা চাল চুরির পর উদ্ধারের ঘটনায় বন্টনপ্রক্রিয়া ঢেলে সাজাতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেনো জেলার অন্য কোথাও না হয় সেদিকে নজর রাখতে সব উপজেলায় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, প্রতিদিন রুটিন ওয়ার্কের পাশাপাশি জেলা প্রশাসক নিজে গিয়ে প্রকৃত অভাবিদের খোঁজ করছেন।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত নির্দেশনার আলোকে প্রকৃত অভাবীদের জন্য চাল নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করছি। কোনো মানুষ যেনো অনাহারে না থাকে আমরা সেই চেষ্টা করছি।