নাটোর অফিস॥
নাটোরের সিংড়ায় লাইসেন্সবিহীন মোটরসাইকেল নিয়ে বের হলে মোটরযান আইনে মামলা দিচ্ছে পুলিশ। বের হওয়ার যৌক্তিক কারণ দেখালে বৈধ মোটর লাইন্সেনন্সধারীদের ছেড়ে দিচ্ছে পুলিশ। তবে অহেতুক ঘোরাঘুরি করলে ব্যতিক্রমী এক শাস্তির মুখোমুখি হতে হচ্ছে চালকদের। এই শাস্তি হলো করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি ও করণীয় সংক্রান্ত প্যারাগ্রাফ লেখা। প্যারাগ্রাফ লেখা শেষেই মিলছে মুক্তি।
সিংড়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগ চালু করেছেন।
জানা যায়, নাটোরের সিংড়া উপজেলায় বৈধ কাগজপত্র ছাড়া মোটরসাইকেল নিয়ে বের হলে মামলা মামলা দিতো পুলিশ। কয়েকদিনের অব্যাহত অভিযানে শতাধিক অবৈধ চালককে মামলা দিয়েছে পুলিশ। এতে সড়কে অবৈধ মোটরসাইকেলের দাপট কমলেও বৈধ কাগজপত্র নিয়ে মোটরসাইকেল চালাচ্ছেন অনেকেই। করোনার সংকটময় পরিস্থিতিতে সকলকে ঘরে থাকার আহ্বান জানানো হলেও প্রয়োজনীয় কেনাকাটাসহ নানা অজুহাতে মানুষ বের হচ্ছে ঘরের বাইরে। যারা নিছকই ঘুরতে বা আড্ডা দিতে বাইরে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হচ্ছেন, তাদের মামলা না দিয়ে ব্যতিক্রমী কায়দায় প্যারাগ্রাফ লিখিয়ে হালকা শাস্তি দিচ্ছে পুলিশ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামিল আকতার বলেন, গত দুই দিনে আমরা শতাধিক লাইসেন্স বিহীন মোটরসাইকেল জব্দ করে মামলা দিয়েছি। এতে করে মোটরসাইকেল আরোহীরা হেলমেট এবং বৈধতার কাগজপত্র সঙ্গে নিয়ে বের হচ্ছেন। যারা জরুরী প্রয়োজনে বের হয়েছে, তাদের কাগজপত্র যাচাই করে ছেড়ে দিয়েছি। যারা কারণ ব্যতীত অহেতুক ঘুরতে বের হয়েছেন তাদেরকে আমরা করোনা সচেতনতা নিয়ে প্যারাগ্রাফ লেখার পরে ছেড়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। এক্ষেত্রেও আমরা সর্তকতা অবলম্বন করছি এবং লেখার আগে চালকসহ আরোহীদের মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার নিশ্চিত করেছি। সকলেই কম বেশি লিখতে পেরেছেন বলে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এ উদ্যোগের মাধ্যমে গত দুই দিনে প্রায় ২০ জন মোটরসাইকেল আরোহীকে সংক্রমণ সম্পর্কে সচেতন করেছি এবং তারা যেন ঘরের বাহিরে বের না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক করেছি।