নাটোর অফিস॥
নাটোর জেলা পরিষদের নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের একটি অংশ প্রকাশ্যে ভেঙ্গে ফেলেছে স্থানীয় কয়েকজন যুবক। সোমবার সকালে জেলা পরিষদের অফিস চলাকালীন সময়ে এ ঘটনা ঘটে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। তবে পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িতদের ধরতে পারেনি।
জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খোন্দকার ফরহাদ আহম্মদ জানান, জেলা পরিষদের প্রবেশ মুখের পাশে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য বঙ্গবন্ধুর একটি ম্যুরাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরবর্তীতে মন্ত্রাণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে ই-টেন্ডারের মাধ্যমে ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল তৈরীর কাজ শুরু হয়। মোহম্মদ আলী মিঠু কার্যাদেশ পাওয়ার পর বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালটি দ্রুত নির্মান কাজ শুরু করেন। ম্যুরালের কাজ অসমাপ্ত অবস্থায় মুজিব বর্ষ উপলক্ষে গত ১৭ মার্চ জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে সেখানে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। ঠিকাদার ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসকে সামনে রেখে অসমাপ্ত নির্মাণ কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য কাজ করছিলেন। এ অবস্থায় সোমবার সকালে রিপন ও রুবেল নামে স্থানীয় দুই যুবক তাদের কয়েকজন সঙ্গেিক নিয়ে জেলা পরিষদের ভিতরে ঢুকে মিস্ত্রীকে কাজ বন্ধ করতে বলে। এসময় তারা মিস্ত্রির হাত থেকে কুন্নী কেড়ে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের দুই পাশে কুপিয়ে ভেঙ্গে ফেলে এবং বেদীর অংশ বিশেষ ভেঙ্গে চলে যায়। রাজ মিস্ত্রিদের হাঁক ডাক শুনে অফিসের অন্যন্য কর্মকর্তা কর্মচারীসহ ঘটনাস্থলে এসে ম্যুরালের কিছু অংশ ভাঙ্গা দেখতে পাই। এসময় পুলিশকে অবহিত করা হলে পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। খবর পেয়ে পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা,সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত, সদর থারার ওসি জাহাঙ্গীর আলম সহ গোয়েন্দা পুলিশ, জেলা পরিষদের সদস্য শফিউল আজম সপন ঘটনাস্থলে আসেন।
জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আলী আকবর ঘটনার নিন্দা জানিয়ে দুর্বৃত্তদের গ্রেফতার ও বিচার দাবি করেন। তিনি বলেন, জঘন্য এ ঘটনায় কারা জড়িত তা খুঁজে বের করা হচ্ছে।
পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, এটা খুব দুঃখজনক ঘটনা। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।