নিজস্ব প্রতিবেদক, গুরুদাসপুর, নাটোর॥
দ্রব্যমুল্যের উর্ধ্বগতির লাগাম টানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তমাল হোসেন,উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন,পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ আলী যৌথভাবে ক্রেতাদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত কিনতে নিরুৎসাহিত করতে ও ব্যবসায়ীদের দাম না বাড়াতে অভিযানে নামেন। একইসাথে তারা করোনা ভাইরাসে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন করতে প্রচারনা চালান। অফিসার ইনচার্জ মোজাহারুল ইসলামও আলাদাভাবে অনুরুপ সচেতনতামুলক প্রচারাভিযানে নামেন।
আজ ২১ মার্চ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় নাটোরের গুরুদাসপুর পৌর সদরের চাঁচকৈড় বাজারের ওই প্রচারাভিযান চালানো হয়। সারাদেশের মতো নাটোরের গুরুদাসপুরে করোনা ভাইরাস আতঙ্কে ক্রেতা সাধারনের মজুদ প্রবনায় হঠাৎ করেই বৃদ্ধি পেয়েছে বলে চাল-পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের দাম। গত দু’দিনের ব্যবধানে প্রকারভেদে প্রতি কেজি চালে প্রায় ৪ টাকা বেড়েছে। এছাড়াও পেঁয়াজ, রসুন, আঁদা,তেল,চিনি,আটার দাম বৃদ্ধি পায়। চাঁচকৈড় হাটে আসা ক্রেতা সেলিম পারভেজ বাবু জানান,প্রশাসনের নজরদারী না থাকায় বাজারে দ্রব্যের মুল্য বৃদ্ধি পেছে। তিনি নিত্যপন্যের দাম ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রাখার দাবী জানান।
উপজেলা চালকল মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক আলহাজ সামসুল হকসহ একাধিক ব্যবসায়ী জানান- চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম, সীমিত পরিবহন চলাচল,মোকাম বা আড়তে দাম বেশি,করোনা আতঙ্কে ভোক্তাদের অধিক ক্রয়ের মানষিকতা বাজারে প্রভাব ফেলেছে। এ কারনে সারাদেশের মতো স্থানীয় বাজারেও দাম সামান্য বেড়েছে। তবে দ্রুতই তা স্বাভাবিক হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তমাল হোসেন জানান,বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আমাদের চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে। দ্রব্যমুল্যের দাম বাড়বেনা বলে ব্যবসায়ীরা আমাদের আশস্থ করেছেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বলেন, করোনা আতঙ্কে ক্রেতা সাধারনের চাহিদার অতিরিক্ত মজুদ প্রবনতার কারনে নিত্যপন্যের দাম কিছুটা বেড়েছে। আমরা বাজারদর সহনীয় রাখতে ব্যবসায়ীদের সাথে একাধিক বৈঠকসহ সরজমিনে মনিটরিং এ নেমেছি। আশা করছি অল্প সময়ে বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।