নাটোর অফিস॥
নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার জামনগর ঘোষপাড়া গ্রামে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে নবম শ্রেণীর ছাত্রী জেসমিন খাতুন। আর জন্মনিবন্ধন জালিয়াতির মাধ্যমে বয়স বাড়িয়ে মেয়ের বিয়ে দেয়ার চেষ্টার অভিযোগে কনের বাবা আব্দুল খালেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদন্ডাদেশ দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।
আজ শুক্রবার(১৭ই জানুয়ারী) বিকেলে উপজেলার জামনগর ঘোষপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বাগাতিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াংকা দেবী পাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জামনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী জেসমিন খাতুনের বাবা আব্দুল খালেক মেয়ের বিয়ে ঠিক করেন একই উপজেলার গাওপাড়া গ্রামে। শুক্রবার রান্না-বান্নাসহ বিয়ের সব আয়োজন সম্পন্ন ছিল। বরযাত্রীরাও বিয়ে বাড়ি হাজির হয়েছিলো। বাল্যবিয়ের সংবাদ পেয়ে ইউএনও প্রিয়াংকা দেবী পাল মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হাবিবা খাতুনকে সাথে নিয়ে জামনগরে কনের বাড়িতে হাজির হন। ইউএনও জেসমিনের বয়স সংক্রান্ত কাগজপত্র দেখতে চাইলে জন্মনিবন্ধন সনদ জালিয়াতি করে বয়স বাড়ানোর বিষয়টি ধরা পড়ে। এতে জেসমিনের বিয়ে বন্ধ করে দেন ইউএনও। সে সময় কনের বাবা আব্দুল খালেককে আটক করেন এবং সেখানে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে আব্দুল খালেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদন্ডাদেশ দেন। পরে ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করা হলে দন্ডিত আব্দুল খালেককে ছেড়ে দেওয়া হয়।