নাটোর অফিসঃ নাটোর শহরের মাদ্রাসা মোড় নাটোরের ‘জিরো পয়েন্ট’ হিসেবে সর্বজনবিদিত। সেই মাদ্রাসা মোড়ের নাম এখন থেকে ‘স্বাধীনতা চত্বর’। এখন থেকে এই মোড় পরিচিতি পাবে স্বাধীনতা চত্বর নামে।
নাটোর জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও পৌরসভার সর্বসম্মতিক্রমে এই নামকরণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মাদ্রাসা মোড়কে স্বাধীনতা চত্বর নাম করণে ধন্যবাদ জ্ঞাপন সহ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যসহ বিশিষ্টজনেরা।
আজ বুধবার(১লা জানুয়ারী) জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ মাদ্রাসা মোড়ের নাম পরিবর্তন করে স্বাধীনতা চত্বর নামকরণ করার বিষয়টি জানান।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মাদ্রাসা মোড়ের নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব নিয়ে বিভিন্ন ফোরামে আলোচনা চলছিল। সম্প্রতি সরকারীভাবে আয়োজিত একটি আলোচনা অনুষ্ঠানে মাদ্রাসা মোড়ের নাম ‘স্বাধীনতা চত্বর’ হিসেবে নামকরণের প্রস্তাব করা হয়। এসময় অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল,জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়র এবং অন্যান্য জনপ্রতিনিধিসহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিশিষ্টজনরা ‘স্বাধীনতা চত্বর’নামকরণের পক্ষে মতামত দেন। ওই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয় মাদ্রাসা মোড়কে ‘স্বাধীনতা চত্বর’ হিসেবে নামকরণ করার। ওই অনুষ্ঠানের সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত মোতাবেক মাদ্রাসা মোড়ের নাম ‘স্বাধীনতা চত্বর’ রাখা হয়।
মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ সৈয়দ মোর্তুজা আলী বাবলু মাদ্রাসা মোড়কে স্বাধীনতা চত্বর নামকরণ করায় জেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই নামকরণে তিনি সহ স্বাধীনতার স্বপক্ষের সকল মানুষ মহা খুশী এবং আনন্দিত।
কেননা এই মাদ্রাসা মোড়ে রয়েছে স্বাধীনতার স্মৃতি সৌধ। দীর্ঘদিন ধরে এই স্বাধীনতা ও শহীদ স্মৃতিসৌধ চত্বরে স্বাধীনতা বিরোধীদের ছবি টানানো হতো। এ থেকে এবার হয়ত রেহায় মিলবে। তবে এই নামকরণ যেন চিরস্থায়ী হয় সেদিকটা খেয়াল রেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য জেলা প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি দাবী জানা তিনি।
নাটোরের একমাত্র বীর প্রতীক সোলায়মান আলী বলেন, এই নামকরণ করে স্বাধীনতার বীর সেনানীদের আবারও সম্মানীত করায় জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। এই নামকরণ যেন ভবিষ্যতে কেউ বদলে না দেয় সেদিকে নজর রেখে পাকাপোক্ত কাজ করার দাবী করছি।