নাটোর অফিসঃ
নাটোরের জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ ৭১ এর গণহত্যার শিকার মল্লিকহাটি এলাকার তিন শহীদ হ্যাপী,আতা ও অবিনাশের গণকবরের ওপর গাড়ির গ্যারেজ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। শহীদদের সম্মান জানাতে গ্যারেজ মালিককে গ্যারেজটি অন্যত্র সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ৭১ এর গণহত্যার শিকার শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর প্রস্তুতি দেখতে রোববার জেলার বিভিন্নস্থানের গণকবর পরিদর্শন করেন।
শহরের মীরপাড়া এলাকায় নারদ নদের লিয়াকত ব্রিজের নিচে মল্লিকহাটি এলাকার তিন শহীদ এসএম শামছুল হুদা হ্যাপী,আতাউর রহমান আতা ও অবিনাশ চন্দ্র ঘোষের গণকবর পরিদর্শনে যান। এসময় ওই গণকবরের ওপর একটি গাড়ির গ্যারেজ দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি তাৎক্ষনিকভাবে উপজেলা ভুমি কর্মকর্তার মাধ্যমে গ্যারেজ মালিক অ্যাডভোকেট ফজলুল হককে গ্যারেজটি সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেন।
এসব গণকবর পরিদর্শনের সময় তার সাথে ছিলেন ডিডি এলজি গোলাম রাব্বী,সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহাঙ্গীর আলম, সদর এসিল্যান্ড আবু হাসান প্রমুখ সরকারী কর্মকর্তা।
আইনজীবি ফজলুল হক গ্যারেজের জায়গাটি নিজের দাবী করে বলেন, প্রায় ৩০ বছর আগে তিনি ওই গ্যারেজ নির্মান করে ব্যবহার করছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে মৌখিকভাবে গ্যারেজ সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। লিখিতভাবে নোটিশ করে জানালে তিনি পরবর্তী পদক্ষেপ নিবেন বলে জানান। তবে তাকে ক্ষতিপুরন দিলে তিনি গ্যারেজ সরিয়ে নিতে প্রস্তুত রয়েছেন।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ বলেন, গ্যারেজটি গ্যারেজটি নদীর মধ্যে রয়েছে। যেখানে গ্যারেজ করা হয়েছে সেখানে পাকসেনারা রাজাকারদের সহায়তায় হ্যাপী,আতা ও অবিনাশকে ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যার পর ওই স্থানে একত্রে মাটি চাপা দেয়া হয়। স্বাধীনতার পর স্থানীয়রা গণকবরের স্থানটি চিহ্নিত করার পর থেকে প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে মহান বিজয় ও স্বাধীনতা দিবসের দিন শ্রদ্ধা জানানো হয়। এবারও বিজয় দিবসে এলাকাটি সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে শহীদদের অবমাননাকর অবস্থায় গ্যারেজটি দেখে তিনিসহ তার সঙ্গে থানা অন্য কর্মকর্তারাও কষ্ট পেয়েছেন। শহীদদের সম্মান জানানোর জন্য গ্যারেজটি সরিয়ে নিতে গ্যারেজ মালিককে নির্দেশ দিয়েছেন।