জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক॥
ফরিদপুরের দুই তরুনের উদ্ভাবিত বাই সাইকেল এবার চলবে চলনবিলের পানিতে। উত্তর জনপদখ্যাত শস্যভান্ডার চলনবিল অধ্যুষিত নাটোরের সিংড়া উপজেলা প্রতি বর্ষায় ধারণ করে বিপুল জলরাশির এক মোহনীয় সৌন্দর্য্য। আষাড়ের শুরু থেকে পরের দুই তিনমাস পুরো চলনবিল থৈ থৈ করে বর্ষার পানিতে। এসময় চলনবিল সমুদ্রের আকার ধারন করে। তীরে আছড়ে পড়ে বড় বড় ঢেউ। ভ্রমনপিপাসু ও আমোদে মানুষরা ঈদসহ বিশেষ দিনগুলোতে এখানে এসে উপভোগ করে প্রকৃতির নির্মল শোভা।
এই চলবিলেই গড়ে উঠা চলনবিল পর্যটন পার্ক এবারের ঈদুল ফিতরে বিপুল দর্শনার্থীদের আকর্ষণের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে। ঈদকে সামনে রেখে গত এক মাস ধরে এই পার্কটিকে প্রস্তত করা হচ্ছে। পার্কটিতে সংযোজন করা হচ্ছে নতুন নতুন রাইড। এছাড়াও পার্কের ভিতরের অংশ খননের মাধ্যমে বর্ধিত করা হচ্ছে লেকের আয়তন।
বিপুল পরিমাণে দর্শনার্থী আকর্ষণের জন্য গত মাসে পার্কটিতে আনা হয়েছে পানিতে চালিত বাইসাইকেল। ফরিদপুরের দুইজন তরুণ উদ্ভাবক বাংলাদেশে প্রথমবার পানিতে চালিত বাইসাইকেলটি উদ্ভাবন করে নাটোরে চলনবিল পর্যটন পার্কে বিক্রি করেন। পার্কটির সত্বাধিকারী কবির হোসেন আশা করছেন নাটোরসহ আশেপাশের বেশ কয়েকটি জেলার মানুষদের এবার আকর্ষণ করবে চলনবিল পর্যটন পার্ক।
কবির হোসেন জানান,ভ্রমন পিপাসুদের আকৃষ্ট করতেই পানিতে চালিত বাই সাইকেল পার্কটিতে সংযোজন করা হয়েছে। কেউ ইচ্ছা করলে এই বাই সাইকেল ভাড়ায় নিয়ে পার্ক সংলগ্ন চলনবিলের পানিতে ঘুরতে পারবেন। এই পার্কে আগত দর্শনার্থীদের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পিকনিক পার্টির জন্য ভাল ব্যবস্থা সহ নতুন রাইড স্থাপন করা হয়েছে। এবার বর্ষা মৌসুমে নৌসর্গিক সৌন্দর্যের রুপ ধারনকরা চলনবিলে ভ্রমন পিপসুদের ভির বাড়বে বলে আশা করছেন তিনি।
সিংড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুল ইসলাম বলেন, বর্ষা মৌসুমে চলনবিল পার্ক নামে ওই বিনোদন কেন্দ্র সহ চলনবিলের নৈসর্গিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে প্রচুর মানুষের সমাগম হয়। এসময় দর্শনার্থী বা ভবন পিপাসুদের নিরাপত্তায় সাদা পোশাকের পুলিশশের নজরদারী সহ পুলিশ টহল দেয়। তবে পার্কের ভিতরে কোন অনৈতিক ঘটনা যাতে না ঘটে সেদিকেও সতর্ক দৃষ্টি বা নজরদারি রাখা হয়।