বড়াইগ্রাম : নাটোরের বড়াইগ্রামে লাশ দাফনের পাঁচ মাস তিনদিন পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে জেসমিন আক্তার (৩৫) নামে এক গৃহবধুর লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। মঙ্গলবার উপজেলার জোয়াড়ী ইউনিয়নের নওদাজোয়াড়ী সামাজিক কবরস্থান থেকে নির্বাহী হাকিম সাইফ-উল-আরেফিনের উপস্থিতিতে লাশটি উত্তোলন করে নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। জেসমিন আক্তার নওদাজোয়াড়ী গ্রামের মৃত ছোহরাপ হোসেনের ছেলে বেলাল হোসেনের ছেলে এবং নাটোর থানার একডালা গ্রামের মৃত শামসুজ্জামানের মেজ মেয়ে।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) সুমন আলী জানান, জেসমিন আক্তারের গত ৩১ মার্চ নওদাজোয়াড়ী গ্রামে স্বামীর বাড়িতে মৃত্যু হয়। এসময় আকষ্মিক হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে মর্মে প্রচার চালিয়ে তরিঘরি করে লাশ দাফন করে। এর চারদিন পর পাশের গ্রামের প্রেমিকা হালিমা বেগমকে নিয়ে নিরুদ্দেশ হয় বেলাল।
এঘটনায় জেসমিনের মৃত্যু নিয়ে স্বজনদের মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি হলে গত ২৪ জুন নিহতের বড়বোন ইয়াসমিন আক্তার বেলাল হোসেন ও তার প্রেমিকা হালিমার নামে আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর আদালতের নির্দেশে লাশ উত্তোলন করে মর্গে পাঠানো হয়।
তিনি আরও জানান, জেসমিন-বেলালের সংসারে তনু ও অনু নামে দুটি মেয়ে আছে। তনু অষ্টম শ্রেণীতে এবং অনু ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ে।