নাটোর অফিস॥ নাটোরের গুরুদাসপুরে জালাল হোসেন মন্ডল (৬০) নামের হত্যা মামলার এক আসামীকে আদালতে হাজিরা দিতে যাবার পথে হাত-পা কেটে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। জালাল স্থানীয় মোমিন মন্ডল হত্যা মামলার ১ নং আসামী। সে উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের সাবগাড়ী গ্রামের আমজাদ হোসেন ওরফে আনন্দ মন্ডলের ছলে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের সাবগাড়ী এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে।
হত্যার পর পুলিশ ওই কাটা হাত ও হত্যাকারীদের ধরতে অভিযান শুরু করেছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, নিহত জালাল ৮ বছর যাবৎ স্বপরিবারে ঢাকায় বাস করেন। অবসরপ্রাপ্ত সচিব আব্দুল জব্বারের বাসায় কেয়ারটেকার হিসেবে থাকেন। বুধবার তিনি হত্যা মামলার হাজিরা দেয়ার জন্য বাড়ী আসেন। সকালে যোগেন্দ্র নগর গ্রামের বাড়ী থেকে তিনি নাটোর কোর্টে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে সাবগাড়ী বাঁধ এলাকায় পৌছালে একই গ্রামের মোমিন মন্ডলের ছেলে আশরাফুল ইসলাম, আক্কাছ মন্ডলের ছেলে শরিফুল ইসলাম ও সাইদুর রহমান, তিন-চারজন সহযোগি পথ রোধ করে প্রকাশ্যে রাস্তায় ফেলে বুকের ওপর বসে তার বাম হাত কেটে নেয়। ডান হাত কাটার পর একটু লেগে থাকায় তা নিয়ে যেতে পারোনি। এ সময় বাম পায়ের রগ কেটে ফেলে রেখে চলে যায় তারা। জালালের চিৎকারে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গুরুদাসপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থা আশংকাজনক দেখে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহষ্পতিবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়।
জালালকে গুরুদাসপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে প্রাথমিক চিকিৎসার সময় চিৎকার করে ওই সকল হ্যাকারীদের নাম বলেন।
স্থানীয় বিয়াঘাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক জানান, সাইদুরসহ যারা ওই ঘটনা ঘটিয়েছে তারা প্রকৃতই সন্ত্রাসী। তারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত।
এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাহারুল ইসলাম জানান, হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও কেটে নেওয়া হাত উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।