নাটোর অফিস॥ নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার পাকা ইউনিয়নের চকগোয়াশ এলাকায় ৬০ মিটার খানাখন্দে পূর্ণ রাস্তার কাজ শেষ। এখন অপেক্ষা বিল আদায় পূর্ববর্তী চুড়ান্ত পরিদর্শনের। কর্তৃপক্ষ সন্তুষ্ট হলেই মিলবে বিল। তবে পরিদর্শনের অপেক্ষায় থেমে থাকছে না ওই রাস্তা দিয়ে হালকা যানবাহন চলাচল। ফলে সদ্য সংস্কার করা ওই রাস্তাটি একটু একটু করে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া শুরু হয়েছে।
পরিদর্শনে বিলম্ব হলেও রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যেন বিল আদায় আটকে না যায় সেজন্য রাস্তার মাঝখানে গর্ত করে যান চলাচলই বন্ধ করে দিয়েছেন কাজের ঠিকাদার ও স্থানীয় ৪নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য বাদশা মিয়া। মঙ্গলবার(১১ই জুন) সন্ধ্যার পর সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের চারজন শ্রমাক দিয়ে রাস্তা খুঁড়ে প্রায় ৩ ফুট গর্ত করেন তিনি। আর এতেই থেমে যান যান চলাচল। একজন ইউপি সদস্যের এমন কান্ডের ছবি গড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও। এ নিয়ে ওই এলাকায় সমালোচনার ঝড় বইছে। হঠাৎ রাস্তায় এমন গর্ত তৈরি হওয়ায় পায়ে হাঁটা ছাড়া কোন যানবাহন নিয়ে চলাচল করতে না পারায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন আশেপাশের কয়েক গ্রামের মানুষরা।
জানা যায়, সম্প্রতি এলজিএসপি প্রকল্পের আওতায় চকগোয়াশ কুলপাড়ায় ৬০ মিটার রাস্তার কাজ করেন ইউপি সদস্য বাদশা মিয়া। রাস্তার কাজ শেষ হলেও চুড়ান্ত পরিদর্শনের অপেক্ষায় আছে রাস্তাটি। বিধি অনুযায়ী, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ চুড়ান্ত পরিদর্শন শেষ করে কাজ সন্তোষজনক ও সিডিউল মোতাবেক হয়েছে উল্লেখ করে রিপোর্ট দিলেই বিল উত্তোলন করতে পারবেন ওই ইউপি সদস্য। এরি মধ্যে ওই রাস্তায় ভারী মালামাল বহন কারী গাড়ী যাতায়াত করায় রাস্তাটি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে কর্তৃপক্ষ পরিদর্শনে এসে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা দেখে অসন্তুষ্ট হলে বিল উত্তোলন করতে পারবেন না এমন দাবী ওই ইউপি সদস্যের। আর এমন ধারনা থেকেই নতুন রাস্তার শেষ দিকে যান চলাচল বন্ধ করতে প্রকল্পের চার জন শ্রমিককে দিয়ে রাস্তা খুঁড়ে প্রায় তিন ফুট গভীর গর্তের সৃষ্টি করেন ইউপি সদস্য বাদশা মিয়া।
ইউপি সদস্য বাদশা মিয়া এমন কান্ডের কথা অকপটে স্বীকার করেছেন। বিল পেতে রাস্তার ব্যবহার বন্ধ নিয়ে দুঃখ প্রকাশও করেন তিনি।
এ ব্যাপারে ১নং পাঁকা ইউনিয়নের চেয়ারম্যন আমজাদ হোসেন এর সাথে সেলফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।