নাটোর অফিস॥ নাটোরের গুরুদাসপুরে পিতাপুত্রের বিরুদ্ধে ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন এক কয়লা ব্যবসায়ী। উপজেলার সাহাপুর গ্রামের ইটভাটা মালিক আজাহার আলী ও তার পুত্র মামুনুর রশিদের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ করেন সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার মশিপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলীর পুত্র সাইফুল ইসলাম।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সাইফুল ইসলাম ২০১২ সাল থেকে আজাহার আলীর ইটভাটায় কয়লা সরবরাহ করতেন। এভাবে ছয় বছরে আজাহার আলীর কাছে ২২ লাখ ১৫ হাজার ১৯টাকা পাওনাদার হন সাইফুল। গত এক বছর ধরে কোনো টাকা না দেয়ায় পথে বসার উপক্রম হয়েছে তার। সাইফুলসহ পিতাপুত্রের প্রচ্ছন্ন প্রতারণার শিকার হয়েছেন অন্ততঃ দশ কয়লা ব্যবসায়ী।
২০১৪ সালে গুরুদাসপুর পল্লীবিদ্যুতের ৯০ হাজার টাকার বিল জালিয়াতী করেন ওই পিতা-পুত্র। আট মাস আগে এ ব্যাপারে নাটোরের পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দিয়েও টাকা উদ্ধার হয়নি সাইফুলের। বর্তমানে তাকে আজাহার আলীর পুত্র মামুন বিভিন্নভাবে হুমকিধামকি দিচ্ছে বলেও তিনি জানান। চাঁচকৈড় বাজারের আলম মেশিনারীজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ অনেকেরই টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে ওই পিতাপুত্রের বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আজাহার আলীর ছেলে মামুন বলেন, সাইফুল ইসলাম আমাদের সাথে চার বছর ধরে কয়লার ব্যবসা করেছেন। হিসেবে তিনি দুই লাখের মত টাকা পেতে পারেন।এর চেয়ে বেশি টাকা তিনি পাবেন না।
স্থানীয় মশিন্দা ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আজাহার ও তার পুত্র মামুনের বিরুদ্ধে অনেক ব্যবসায়ীর টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আছে। পাবনা সদরের প্রকৌশলী অলিভার হোসেনের ৭ লাখ টাকা আজও পরিশোধ করেননি তারা।
গুরুদাসপুর উপজেলা নদীরক্ষা আন্দোলন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আতহার হোসেনসহ স্থানীয়রা জানান, আজাহার আলী ও তার ছেলের বিরুদ্ধে গুমানী নদী দখল করে চাতাল নির্মাণরে অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে গুরুদাসপুর থানার ওসি মো. মোজাহারুল ইসলাম বলেন, কোন পাওনাদার থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।