নাটোর অফিস॥ পলান সরকার ওদের কাছে ছিলেন এমনই কেউ একজন যাঁর সম্পর্কে ওরা শুধুই শুনেছে। ওরা জানে, বিদ্যালয়ে ওদের মতই একদিন ছাত্র ছিলেন পলান সরকার। আগামী বছর বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠানে ওরা পলান সরকারকে স্বচক্ষে দেখবে এমনটা আশা করেছিল। কিন্ত সে পলান সরকার নামের মানুষটিকে আর দেখা হল না ওদের।
একুশে পদক প্রাপ্ত বই পড়া আন্দোলনের পথিকৃৎ প্রয়াত পলান সরকারের স্মরণে আয়োজিত প্রার্থনা অনুষ্ঠানে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা এমনটাই বলছিলো।
পলান সরকারের জন্মস্থান নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকালে একযোগে উপজেলার ৫৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস তৈরীর অগ্রণী ভূমিকা রাখা এ ব্যক্তিত্বের জীবনের উপর সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। প্রতিটি বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ প্রার্থনায় ক্ষুদে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অংশ নেন।
পলান সরকারের শৈশবের বিদ্যাপীঠ নূরপুর মালঞ্চি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আয়োজিত দোয়া অনুষ্ঠানে অংশ নেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফাইজুল ইসলাম, প্রয়াত পলান সরকারের ভাতিজা প্রভাষক আবদুল হালিম, নূরপুর মালঞ্চি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আফরোজ্জামান নিপুন, প্রধান শিক্ষিকা মাহ্মুদা সুলতানা, সমাজসেবক মোস্তাফিজুর রহমান মনি প্রমুখ।
নূরপুর মালঞ্চি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আফরোজ্জামান নিপুন বলেন, পলান সরকার মানুষের মাঝে যে পাঠাভ্যাসের সূচনা করে গেছেন তার জন্য বাগাতিপাড়াবাসী গর্বিত। তিনি প্রয়াত পলান সরকারের নামে বিদ্যালয়টির নতুন ভবনের নামকরণ ও এর একটি কক্ষে ‘পলান সরকার স্মৃতি পাঠাগার’ করার দাবী জানান।
বাগাতিপাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফাইজুল ইসলাম বই পড়াকে সামাজিক আন্দোলনে রুপান্তরের কারিগর পলান সরকারের স্মৃতির ধরে রাখার জন্য ব্যাপারে পাশে থাকার আশ্বাস দেন।