নাটোরে বাগাতিপাড়ায় দুই শিক্ষকের হাতাহাতি, থামাতে ছুটে গেল পুলিশ!

নাটোর : নাটোরের বাগাতিপাড়ার সরকারী স্কুলের দুই শিক্ষকের মধ্যে হাতাহার্তি থামাতে ছুটে যেতে হয় পুলিশকে। তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই থেমে যায় ওই দুই শিক্ষকের মধ্যেকার কিল-চড়-থাপ্পড়ের মল্লযুদ্ধ।
সোমবার সকালে উপজেলার মডেল পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে শাসন করা নিয়ে দুই শিক্ষকের মধ্যে ঘটে এই অনাকাঙ্খিত ঘটনা। বিষয়টি জানতে ওই দুই শিক্ষক সহ প্রধান শিক্ষককে তলব করেছেন স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
স্কুল কর্তৃপক্ষ ও প্রত্যক্ষদর্শি সুত্রে জানা যায়, বাগাতিপাড়া উপজেলার মডেল পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক মোমাইনুল ইসলাম রোববার এক ছাত্রকে শাসন করেন। বিষয়টি নিয়ে ওই বিদ্যালয়ের ভকেশনাল শাখার গণিত বিভাগের শিক্ষক টিপু সুলতান প্রতিবাদ করেন। সোমবার সকালে এনিয়ে স্কুলের এ্যসেম্বলি (জাতীয় সঙ্গীত) শেষে ওই দুই শিক্ষকের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে উভয় শিক্ষকের মধ্যে হাতাহাতি,কিল, চড়,থাপ্পর ও লাথালাথির ঘটনা ঘটে। উপস্থিত শিক্ষকরা তাদের থামাতে ব্যর্থ হন এবং ঘটনাটি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করলে তিনি অনাকাঙ্খিত কোন ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য পুলিশ প্রেরণ করেন। কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই দুই শিক্ষকের মধ্যেকার বাকবিতন্ডা সহ হাতাহাতির ঘটনা থেমে যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষকসহ শিক্ষার্থীরা জানায়, বিদ্যালয়ের চারতলা ভবনের নিচ তলায় শিক্ষকদের কক্ষের পাশে সিঁড়ি ঘরের নিচে প্রকাশ্যে এই ঝগড়া বিবাদে জড়িয়ে পড়েন ওই দুই শিক্ষক। এতে করে অভিভাবক সহ এলাকাবাসী স্কুলের পরিবেশ ও শিক্ষকদের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ঘটনার সময় আরো দুইজন শিক্ষক সেখানে ছিলেন।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক (ক্রীড়া বিষয়ক শিক্ষক ) সামশুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান,বিষয়টি জানার পর স্কুল পরিচালনা পর্ষদ সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওই দুই শিক্ষক সহ আমাকে তলব করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাসরিন বানু বলেন, তিনি ঘটনা জানার পর স্কুল কর্তৃপক্ষ সহ ওই দুই শিক্ষককে ডেকে পাঠিয়েছেন। ঘটনা শুনে প্রয়োনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
নাইমুর রহমান
নাটোর
১৪-০১-১৯

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *