নাটোর: নাটোরের লালপুর উপজেলার আধিপত্য বিস্তারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুবলীগ নেতা জাহারুল ইসলাম হত্যা মামলার প্রধান আসামী মাসুদ কাউন্সিলরসহ ৭ আসামী রোববার দুপুরে আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
নাটোর আদালত-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, লালপুর উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহারুল ইসলাম খুনের মামলার প্রধান আসামী গোপালপুর পৌরসভার কাউন্সিলর মাসুদ রানা, মো.মঞ্জু , মোস্তাফিজুর রহমান মুস্তাক , মো.বিকি , মো.মানিক , মো.জীবন , ও বরাত আলী , রোববার দুপুরে লালপুর আমলী আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। তাদের পক্ষে আইনজীবী দীনেশ চন্দ্র জামিন শুনানী করেন। শুনানী শেষে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম সুলতান মাহমুদ তাদের জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করেন এবং তাদেরকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর পর পরই আদালত-পুলিশ তাদেরকে নাটোর জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেন। আদালত-পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল হাই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ২৮ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় যুবলীগ নেতা জাহারুল ইসলাম (৩২) লালপুরের গোপালপুর সুগার মিলের গেটের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। এ সময় পূর্ব বিরোধের জের ধরে তার রাজনৈতিক সহযোগী ও গোপালপুর পৌরসভার আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর মাসুদ রানাসহ ৩২ জন তার হাত-পায়ের রগ কেটে দেয় এবং শরীরের অন্যান্য স্থানে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ব্যাপারে নিহতের ভাই রেজাউল করিম বাদী হয়ে ২৯ নভেম্বর লালপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ফিরোজ আল ভুঁইয়াকে পুুলিশ তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার করে। দীর্ঘদিন পর অন্যান্য আসামিদের মধ্যে উল্লেখিত সাতজন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।