নাটোর: ব্র্যাকের নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জ শাখার মাইক্রো ফিন্যান্স প্রগতি’র ক্রেডিট অফিসার ইনামুল ইসলাম (৩৬) নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর নাটোরের তেবাড়িয়া থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার সাউঘাট মহনা এলাকা থেকে নিখোঁজ হন তিনি। শনিবার উদ্ধারের পর ওই দিন থেকেই বাগাতিপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ইনামুল ইসলাম নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার রহিমানপুর গ্রামের মৃত আক্কাস আলীর ছেলে।
নিখোঁজের ভাই জহুরুল ইসলাম জানান, গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ইনামুল ইসলাম বাসা থেকে তার ব্র্যাক অফিসে যাওয়ার পথে নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার সাউঘাট মহনা এলাকা থেকে নিখোঁজ হন। এরপর থেকে তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এব্যাপারে ইনামুলের স্ত্রী পান্না বেগম রূপগঞ্জ থানায় সাধারন ডায়েরী করেন। বিষয়টি র্যাবসহ পুলিশ প্রশাসনের উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। ঘটনার তৃতীয় দিন শনিবার নাটোরের তেবাড়িয়া এলাকা থেকে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে বিষয়টি বাগাতিপাড়া থানাকে জানায়।
চিকিৎসাধীন ইনামুল রোববার এই প্রতিবেদককে বলেন, অফিসে যাওয়ার পথে কয়েকজন লোক তাকে জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। এরপর নাকে রুমাল ধরলে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। জ্ঞান ফিরে পেয়ে দেখেন তাকে একটি গোডাউন ঘরে আটকে রাখা হয়েছে। পরে তাকে পিস্তুল ধরে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। এরপর গাড়িতে বসিয়ে সাথে দুটি ব্যাগ রেখে বিভিন্ন স্থানে নেওয়া হয়। সেসময় কেউ জিজ্ঞাসা করলে ব্যাগ দুটি তার নিজের বলতে বলা হয়। এরপর শনিবার ভোর রাতে টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে একটি কালো মাইক্রোবাস থেকে তাকে ফেলে দেওয়া হয়। সেখানে স্থানীয় দুইজন লোক তাকে একটি বাসে নাটোরের তেবাড়িয়ায় পাঠিয়ে দেয়। এরপর তেবাড়িয়ায় পৌঁছে তিনি তার ভাই রনিকে ফোনে জানালে পরিবারের লোক উদ্ধার করে। শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে ওই দিনই বাগাতিপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এ ব্যাপারে বাগাতিপাড়া থানার ইনচার্জ (তদন্ত) স্বপন কুমার চৌধূরী বলেন, ব্র্যাক কর্মকর্তা ইনামুল ইসলাম উদ্ধারের বিষয় পরিবারের লোকজন জানালে তা রূপগঞ্জ থানা ও সংশ্লিষ্ট ব্র্যাক অফিসকে অবহিত করা হয়েছে। যেহেতু ওই থানায় সাধারন ডায়েরী করা হয়েছে সুতরাং সংশ্লিষ্ট থানা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।