নাটোর অফিস॥
নাটোরে এগার বছর বয়সী এক শিশুকে যৌন নির্যাতন ও আতœহত্যায় প্ররোচিত করার দায়ে মোঃ কাজেম আলী ও মোঃ আতিকুর রহমান নামে দুইজনকে ১০ বছর করে কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া রায়ে জরিমানার টাকা শিশুটির বাবাকে দেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
রোববার (১৯ জানুয়ারী) দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মুহাম্মদ আব্দুর রহিম আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন। দন্ডপ্রাপ্ত কাজেম আলী মাঝদিঘা শিবপুর গ্রামের মোঃ কাদের আলীর ছেলে ও আতিকুর রহমান একই গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে। তারা দুইজনই ওই শিশুটির প্রতিবেশী।
নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের স্পেশাল পাবলিস প্রসিকিউটর (বিশেষ পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুল কাদের মিয়া এতথ্য নিশ্চিত করে জানান, ২০০৫ সালের ১৮ মার্চ সকালে নাটোর সদর উপজেলার মাঝদিঘা শীবপুর গ্রামের ১১ বছর বয়সী এক শিশু বাড়ির পাশে ভেড়া চড়াতে যায়। এসময় প্রতিবেশী আতিকুর রহমান ও কাজেম আলী ওই শিশুকে জড়িয়ে ধরে যৌন নির্যাতন করে। বিষয়টি প্রতিবেশী এক নারী দেখে ফেলেন। এ ঘটনায় লজ্জায় বাড়ি ফিরে শিশুটি কীটনাশক পানে আতœহত্যা করে। এ ঘটনায় সেসময় স্থানীয়রা কাজেম আলীকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেন। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সাথে তিনিসহ আতিকুর রহমানের জড়িত থাকার কথা পুলিশকে জানায়। পরে এ ঘটনায় নির্যাতিতার বাবা বাদি হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে পুলিশ ওই দুইজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জসীট প্রদান করেন। মামলা দায়েরের প্রায় ২০ বছর পর সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আসামীদের উপস্থিতিতে আদালতের বিচারক আজ রোববার এই রায় দেন। রায়ে জরিমানার টাকা শিশুটির বাবাকে দেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।