নাটোর অফিস।।
নাটোরের লালপুরে মেহগনী গাছের ডালে ঝুলছিলো মজিবর রহমান (৫৫) নামে এক ঠিকাদারের মরদেহ।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার ওয়ালিয়া ইউনিয়নের ধুপইল গ্রাম থেকে পুলিশ গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করেছে। এসময় প্রাথমিক তদন্তে তার পকেটে একটি চিরকুট পায় পুলিশ। নিহত মজিবুর পাশ্ববর্তী বাগাতিপাড়া উপজেলার সুইতিরপাড়া গ্রামের দলু খান ওরফে দইলুদ্দিন খানের ছেলে। তিনি পেশায় একজন ঠিকাদার ছিলো।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সকালে ধুপইল গ্রামে বাবলু নামে এক ব্যক্তির নির্মাণাধীন বাড়ির আঙ্গিনায় একটি মেহগনী গাছের সাথে রশি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে।
মজিবরের স্ত্রী হেলেনা বেগম জানান, আমরা বাগাতিপাড়া উপজেলার দয়রামপুরে ভাড়া বাসায় বসবাস করতাম। আজ ভোরে ফজরের আজানের পরে মজিবর বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। আর বাড়ি ফিরে আসে নি। সকালে তার ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়।
ওয়ালিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সুমন চন্দ্র দাস বলেন, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে নিহতের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়ায় যায়নি। ধারনা করা হচ্ছে মজিবর রহমান আত্মহত্যা করেছে। তবে নিহতের পকেট থেকে পাওয়া চিরকুট টি যাচাই বাছাই করা হচ্ছে।’
লালপুর থানার ওসি (তদন্ত ) রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।