নাটোর অফিস ॥
নাটোরের বড়াইগ্রামে ৫ম শ্রেণীর ছাত্রকে ধর্ষন মামলায় আবুল কাশেম ওরফে বাহাদুর(৬০) নামে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড সহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। এ সময় অপরাধ প্রমানিত না হওয়ায় ৭ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে নাটোরের নারী ওশিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল বিচারক ( জেলা ও দায়রা জজ) মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই আদেশ দিয়েছেন। দন্ডপ্রাপ্ত আবুল কাশেম বড়াইগ্রামের গড়মাটি গ্রামের মৃত এবাদ আলীর ছেলে।
আদালত সুত্রে জানা যায়, ভিকটিম প্রতিদিন সকালে বাড়ির অদুরে শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়তে যায়। ২০১৮সালের ১২ জুলাই সকালে প্রতিদিনের মত প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার পথে প্রতিবেশী আবুল কাশেম ওরফে বাহাদুর শিশুকে ডাক দিয়ে বাহাদুরের ডেকোরেটরের দোকানে নিয়ে গিয়ে ভয় দেখিয়ে ধর্ষন করে। এ সময় শিশুটির চিৎকারে স্থানীয় একজন দোকানের ভিতরে শিশুটিকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে তার বাবাকে মোবাইল ফোনে ঘটনাটি জানায়। পরে শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পর শিশুটির বাবা ঢাকা থেকে ফিরে এসে আবুল কাশেম সহ ৮ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় পুলিশ তদন্ত করে আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। দীর্ঘ প্রায় সাড়ে ৬ বছর মামলার স্বাক্ষ্য প্রমান গ্রহন শেষে আবুল কাশেম ওরফে বাহাদুরকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালতের বিচারক।
নারী ও শিশু দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটার জানান, রায়ে মামলার অপরাধ প্রমানিত না হওয়ায় বিজ্ঞ বিচারক অপর ৭জনকে বেকসুর খালাসের আদেশ দিয়েছেন। এরা হলেন মাহফুজ,মন্টু,মোজাহিদ,আব্দুল আলিম ,জুব্বার ,মোঃ মতিন ওমোঃ মজনু। এছাড়া জরিমানার অর্থ ভিকটিম পাবে বলে আদেশ দিয়েছেন। সকলের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষনা করেন বিচারক।