নাটোর অফিস ॥
নাটোরের বড়াইগ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সংঘর্ষের সময় মামাতো ভাইয়ের হাসুয়ার কোপে ফুফাতো ভাই তোরাব আলী (৫৬) নামে নিহত হয়েছেন। এসময় মামাতো ভাই মোঃ রানা (৪৫) সহ উভয় পক্ষের ৭ জন আহত হয়। মারাত্মক জখম রানাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার সকালে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের রাজাপুর নটাবাড়িয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত তোরাব আলী উপজেলার রাজাপুর নটাবাড়িয়া এলাকার সোলেমান আলীর ছেলে। তিনি পেশায় একজন কৃষক ছিলেন। আহত রানা একই এলাকার মৃত সামাদ আলীর ছেলে। তারা দুজন সর্ম্পকে পরস্পর আপন মামাতো-ফুফাতো ভাই।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ দিন ধরে পুকুর পাড়ের জমি নিয়ে উপজেলার নটাবাড়িয়া এলাকার তোরাব আলীর সাথে মামতো ভাই রানা খানের বিরোধ চলছিল। সকালে তোরাব আলী তার কলার জমির পানি নিষ্কাশনের জন্য নালা কেটে পানি বের করছিলেন। এ নিয়ে তোরাব আলীর সাথে রানার তর্ক-বির্তক হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন লাঠি-সোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে ধারালো হাসুয়ার আঘাতে তোরাব আলী ঘটনাস্থলেই মারা যান। এসময় উভয় পক্ষের লাঠি-সোটা ও ধারালো অস্ত্রের আঘাত ও হামলায় রানা সহ উভয় পক্ষের ৭ জন আহত হন। স্থানীয় লোকজন রানাকে উদ্ধার করে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
বড়াইগ্রাম থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম সংঘর্ষে তোরাব আলীর মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়এবং পরিস্থিতি শান্ত রাখা হয়েছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এ ব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। পাশাপাশি হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে ।