নাটোর অফিস॥
সিংড়া ও বড়াইগ্রামে পৃথক অভিযান চালিয়ে আওয়ামীলীগের ৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে এই দুই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।
নাটোরের সিংড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল সহ চারজনকে ধানের শীষের নির্বাচনী প্রচারণায় হামলা, হত্যার হুমকি ও চাঁদা দাবি করা একটি মামলায় গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এদিকে বুধবার দুপুরে আদালতের বিচারক বৃহস্পতিবার শুনানির দিন ধার্য্য করে সবাইকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। গ্রেফতারকৃত অন্যরা হলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান, উপজেলা আ:লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক (অবসরপ্রাপ্ত) শিক্ষক সঞ্জয় কুমার সাহা ও আ’লীগের সদস্য আদেশ আলী সরদার।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৯ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীর্ষের প্রচারণায় রাখালগাছা বাজারে বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর হামলা, হত্যা চেষ্টা ও চাঁদা দাবি করা হয়। ছাত্র জনতার অভ’্যথানের পরে গত ৫ সেপ্টেম্বর সিংড়া থানায় একটি মামলা করেন তাজপুর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব। মামলায় নাটোর জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক ডাক, টেলি যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক কে প্রধান আসামি করে ১৪ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাতনামা আরো ২০/২৫ জন কে আসামী করা হয়। গ্রেফতারকৃত চারজনই এই মামলার অজ্ঞাতনামা আসামী বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সিংড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
অপরদিকে বড়াইগ্রামে আওয়ামীলীগের ৪ নেতা কর্মী গ্রেপ্তার করেছে বড়াইগ্রাম থানার পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে নিজ নিজ বাড়ি থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলার বড়াইগ্রাম উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কালাম জোয়ার্দ্দার (৫০), তার ছেলে ছাত্রলীগ কর্মী তন্ময় আহম্মেদ (১৯), আওয়ামীলীগ কর্মী ও রয়না ভরট গ্রামের মৃত লোকমান হোসেনের ছেলে আব্দুর রহিম (৩৫) ও মশিন্দা গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে শহিদুল ইসলাম।
বড়াইগ্রাম থানা সুত্রে জানা যায়, আটক ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা আছে। গত ৫ই আগষ্ট বনপাড়া বাজারে শিবির কর্মীর উপর মারপিটের মামলায় শহিদুল ও ৩০ আগষ্ট মৌখাড়া বাজারে বিএনপির অফিস ভাংচুর করার ঘটনায় মামলায় বাকি ৩জন জড়িত থাকার গ্রেপ্তার করা হয়।
বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার ব্যাক্তিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
অপরদিকে বাগাতিপাড়া থেকে গ্রেফতারকৃত উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল ওহাব ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান খালেক আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন।