কৃষকের বিরুদ্ধে নারী কৃষি কর্মকর্তার মাথা ফাটানোর অভিযোগ

নাটোর অফিস॥
নাটোরে প্রণোদনায় কৃষি উপকরণ না পাওয়ায় রড দিয়ে মেরে ইসরাত জাহান ইমন নামে এক নারী কৃষি কর্মকর্তার মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে মিলন নামের এক কৃষক। বুধবার বিকেলে সদর উপজেলা একডালা নারায়নপাড়া এলাকায় কৃষকদের ফসল দেখতে গিয়ে এই হামলার শিকার হন ওই নারী কৃষি কর্মকর্তা। স্থানীয়রা আহত উপ-সহকারী কৃষি অফিসার ইসরাত জাহান ইমনকে উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। তবে অভিযুক্ত কৃষকের দাবি ওই কৃষি কর্মকর্তার স্বামীর কাছে পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে বাকবিতন্ডার সময় লেবারদের ব্যাগ ছুড়ে মারায় এই অপ্রিতিকর ঘটনাটি ঘটে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কৃষি কর্মকর্তা ইসরাত জাহান ইমন বলেন, নিয়মিত পরিদর্শনের অংশ হিসেবে বুধবার সদর উপজেলার তেবাড়িয়া ইউনিয়নের একডালা নারায়নপাড়া এলাকায় ফসলের মাঠে একজন কৃষকের ফসল দেখতে যান। এসময় সেখানে মিলন নামে এক কৃষক আমার কাছে এস জানতে চান, তাকে কেন এ বছর প্রণোদনা দেওয়া হয়নি। এসময় তাকে নির্দিষ্ট সংখ্যক প্রণোদনা আসার কথা বুঝিয়ে বলেছিলাম। নির্দিষ্ট সংখ্যক প্রণোদনা আসার কারনে এগুলো পর্যায়ক্রমে সব কৃষকদের মাঝে দেওয়ার কথা বলি। আগামীতে তিনি পাবেন বলে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করি। এসময ওই কৃষক ক্ষিপ্ত হয়ে ক্ষুদ্ধ ভাব প্রকাশ করেন এবং তার হাতে থাকা রড দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করেন। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
অভিযুক্ত মিলন জানান, তার এক ছটাক জমিও নাই। তিনি কোন কৃষি প্রণোদনার জন্য ওই কৃষি কর্মকর্তার কাছে যাননি। তিনি কৃষি কর্মকর্তা ইসরাত জাহান ইমনের স্বামী রানার কাছে পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে শ্রমিকদের কাজের যন্ত্রপাতি রাখা একটি ব্যাগ ছুড়ে মারেন রানাকে লক্ষ্য করে। এসময় ব্যাগটি কৃষি কর্মকর্তার মাথায় গিয়ে আঘাত লাগে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নাটোরের উপ-পরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ধরনের হামলা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। উপজেলা কৃষি অফিস তার সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখছে। এ বিষয়ে তাকে আইনগত সকল সহযোগিতা করা হবে।
সদর থানার ওসি তদন্ত শফিকুল ইসলাম বলেন, এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *