বিআরটিএ কার্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আগমনে মিলেছে সুফল

নাটোর অফিস॥
নাটোরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা বিআরটিএ কার্যালয়ে গিয়ে দালাল ও ঘুষ প্রথা বাদসহ আট দফা দাবি জানায়। গ্রাহকদের অভিযোগ নাটোর বিআরটিএ অফিসে গেলে নানা টালবাহানা করে সময়াক্ষেপন করে হয়রানি করা হয়। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে সংস্থাটির সহকারী পরিচালকের সাথে দেখা করে আট দফা দাবি নিয়ে আলোচনা করেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষনিক পাঁচটি দাবি মেনে নেন এবং অপর দাবিগুলো উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন। এসময় সেনা সদস্যরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক শেখ ওবায়দুল্লাহ জানান, আটটি দাবি নিয়ে ছাত্র সমাজ বিআরটিএ কার্যালয়ে আসেন। সহকারী পরিচালকের সাথে আলোচনায় বসলে কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষনিক পাঁচটি দাবি মেনে নেন। দাবিগুলো হলো, দালাল প্রথা বাদ দিতে হবে। ঘুষ বাণিজ্য করা যাবে না। লাইসেন্স সংক্রান্ত কাগজপত্র অফিস থেকে প্রদান করবে। অফিস কর্মকর্তা ও লাইসেন্স সংক্রান্ত কাজ ব্যতীত বাইরের কেউ অফিসে আসতে পারবে না। দূর্নীতিগ্রস্থ কর্মকর্তাদের আইনের আওতায় আনা নিশ্চিত করতে হবে এবং তা ৭ দিনের মধ্যেই করতে হবে, দাবিগুলো মেনে নেয়া হয়। অপর তিনটি দাবি হলো, যে কোনো শো-রুম থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি বিক্রি হবে না, তা নিশ্চিত করতে হবে। প্রশাসন ভবন থেকে আলাদা জায়গায় নতুন অফিস নির্মাণ করতে হবে। রেজিষ্ট্রেশনের পর নম্বর আসার ৭ দিনের মধ্যে ডিজিটাল নম্বর প্লেট গ্রাহকের কাছে পৌঁছাতে হবে। এই দাবিগুলো আগামি সাত কর্মদিবসের মধ্যে মেনে নেয়ার আশ্বাস দেন সহকারী পরিচালক।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *