পদ্মানদীতে মৃতদেহ ভেসে যাওয়ার হদিস পায়নি পুলিশ

নাটোর অফিস॥
নাটোরের লালপুর উপজেলার পদ্মানদীতে ভেসে গেছে একটি হাত বাঁধা অজ্ঞাত মৃতদেহ। ওই মৃতদেহ উদ্ধারে কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি এমন অভিযোগও রয়েছে। তবে পুলিশ বলেছে অনুসন্ধান চালিয়েও পদ্মা নদীতে ভেসে যাওয়া মৃতদেহের সন্ধান পাওয়া যায়নি। শনিবার (৬ জুলাই) সন্ধ্যায় একটি ফেসবুক পেজে নদী দিয়ে একটি মৃতদেহ ভেসে যাওয়ার এমন একটি খবর লাইভ প্রচারিত হয়। তাতে বলা হয় ‘হাত বাঁধা একটি মৃতদেহ পদ্মানদীর গৌরীপুর অংশ দিয়ে ভেসে পার্শ¦বর্তী ঈশ্বরদী উপজেলার আড়মবাড়িয়ার দিকে যাচ্ছে।’ তবে এবিষয়ে পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কোন মৃতদেহের সন্ধান পায়নি বলে জানিয়েছে পাকশী নৌ-পুলিশ ও লালপুর থানা পুলিশ।
পুলিশের দাবি, খবর পেয়ে নদীতে ঘন্টাব্যাপি তল্লাশি করেও কোন মৃতদেহের সন্ধ্যান পাওয়া যায়নি। নদীতে কি ভেসে গেছে তা কেউ সঠিক করে বলতে পারে নি।
স্থানীয় চা দোকানী বাপ্পি আলী জানান, গতকাল সন্ধ্যায় দু’জন লোক এসে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বলে, নদীতে লাশ ভেসে যাচ্ছে। পরে তিনি নদীতে গিয়ে কোন লাশ দেখতে পান নি।’
স্থানীয় লালপুর উপজেলার ২নং ঈশ্বরদী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ রঞ্জু বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও লোক মুখে শুনেছেন নদীতে একটি হাত বাঁধা মৃতদেহ ভেসে যাচ্ছে এ পর্যন্তই। এর মৃতদেহ উদ্ধারের কোন খবর পাওয়া যায়নি।
পাকশী নৌ-পুলিশের এস আই জামাল আলী জানান, শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে লালপুর থেকে গণমাধ্যম কর্মী পরিচয়ে সজিবুল নামের একজন ফোন করে জানান, পদ্মানদীর গৌরীপুর থেকে একটি লাশ ভেসে আড়মবাড়িয়ার দিকে যাচ্ছে। খবর পেয়ে নৌ-পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল গৌরীপুরে গিয়ে সংবাদদাতা কে ফোন করে। কিন্তু সেই গণমাধ্যম কর্মীকে পাওয়া যায় নি। এছাড়া স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে ও নদীতে প্রায় ১ ঘন্টাব্যাপী খুঁজেও কোন লাশ বা মৃতদেহের সন্ধ্যান পাওয়া যায় নি। আমরা এখনও নদীতে তল্লাশি করছি। কোন লাশের সন্ধ্যান মেলেনি। নদীতে কি ভেসে গেছে তা কেউ সঠিক করে বলতে পারে নি।’
লালপুর থানার ওসি মোঃ নাছিম আহমেদ বলেন, ঘটনাস্থলটা ঈশ্বরদী উপজেলার মধ্যে হওয়ার পরেও খবর পেয়ে আমার থানা পুলিশ ও নৌ-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কোন লাশের সন্ধ্যান পাইনি। যারা খবর দিয়ে ছিলো তাদেরও পাওয়া যায়নি। নদীতে কি ভেসে গেছে তা কেউ সঠিক করে বলতে পারে নি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *