চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরা হলো না মা-মেয়ের

নাটোর অফিস॥
নাটোরের লালপুরে চিকিৎসা করিয়ে তিন বছরের অসুস্থ শিশু কন্যা রোকেয়াকে নিয়ে বাড়ি ফেলা হলোনা মা রুবিনা বেগমের। অসুস্থ মেয়ে রোকেয়াকে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে চিকিৎসা শেষে ব্যাটারী চালিত চার্জার ভ্যান যোগে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন মা রুবিনা বেগম। পথে জামতলা তিনখুঁটি নামক স্থানে পৌঁছাইলে একটি মাইক্রোবাসের সঙ্গে চার্জার ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে মা-মেয়ে দু’জনেরই মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার (০৪ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে নাটোরের লালপুর উপজেলার লালপুর-বাঘা আঞ্চলিক সড়কের রহিমপুর জামতলা তিনখুঁটি নামক এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রুবিনা বেগম (৩৫) দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের মাহাবুব আলমের (বিজন) স্ত্রী ও রোকেয়া (০৩) তার মেয়ে। এ ঘটনায় ওই ঘাতক মাইক্রোবাসটিকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সকালে মা রুবিনা ও বাবা মাহাবুব আলম অসুস্থ মেয়ে রোকেয়া (৩)কে চিকিৎসার জন্য বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
দুপুরে অসুস্থ মেয়ে রোকেয়া (৩)কে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে চিকিৎসা শেষে ব্যাটারী চালিত চার্জার ভ্যান যোগে বাড়ি ফিরছিলো মা রুবিনা। পথের মধ্যে তাদের চার্জার ভ্যানটি জামতলা তিনখুঁটি নামক স্থানে পৌঁছিলে রাজশাহীগামী একটি মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রো চ- ১১-৯০৪৩) এর সঙ্গে চারর্জার ভ্যানের মুুখোমুখি সংঘর্ষ হলে মা ও মেয়ে দু’জনই ভ্যান থেকে ছিটকে সড়কে পড়ে ঘটনাস্থলে মা ও মেয়ের মত্যু হয়। তবে ঘাতক মাইক্রোবাসের ড্রাইভার পালিয়ে যায়।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে ঘাতক মাইক্রোটি জব্দ করে লালপুর থানায় নিয়ে আসে।
দুড়দুড়িয়া ইউপির চেয়ারম্যান তোফাজ্জাল হোসেন তোফা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাছিম আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে মাইক্রোবাসটি জব্দ করে থানায় আনা হয়েছে। নিহতরে লাশ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় সড়ক আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীণ রয়েছে বলে জানান ওসি।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *