নাটোর অফিস ॥
নাটোরের চা দোকানীর ছেলে অদম্য মেধাবী শিশির আরাফাত একজন সফল মানুষ হতে চায়। সে এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েও পরিবারের আর্থিক অনটনের কারণে রয়েছে চরম হতাশায়। নাটোর সদরের ছাতনী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র শিশিরের বাবা কখনো কোন কাজ করতোনা। তাদের সংসারে তাই অভাব অনটনের পাশাপাশি কলহ বিবাদ লেগেই থাকতো। শিশির দশম শ্রেণীতে উঠার পর সন্তান ভালো ফলাফল করছে শিক্ষক ও প্রতিবেশীদের কাছে এমন খবর জেনে কর্মে উৎসাহী হন তার বাবা আনোয়ার হোসেন। তিনি বাড়ির পাশে ছোট্র একটি টং ঘরে চা বিক্রি শুরু করেন। তাদের মাটির ছোট্র দুটি ঘরের একটিতে বাবা-মা অপরটিতে দাদীর সাথে শিশির বসবাস করেন। চরম দারিদ্রের কারণে মাধ্যমিক পরীক্ষার একটি টাকাও তার পরিবার দিতে পারেনি। বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তার ফরম পুরুনের টাকা সহ তার বই খাতা ও কলমের ব্যবস্থা করেছে। অদম্য মেধাবী শিশির আরাফাত দেশের কোন ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হয়ে শিক্ষা জীবন শেষে একজন সফল ও ভালো মানুষ হতে চায়। উচ্চ মাধ্যমিক শেষে শিশির মেডিকেল কলেজে পড়তে চায়। শিশিরের মা শিরিন শিলা একমাত্র সন্তানের শিক্ষা জীবন নিয়ে হতাশায় ভুগছেন। তিনি বলেন, টাকার অভাবে কখনো ছেলেকে ভালো খাবার, পোষাক ও বই খাতা কিনে দিতে পারিনি। শিক্ষকদের সহযোগীতায় এ পর্যন্ত আসলেও এখন বাহিরে পাঠিয়ে উচ্চ শিক্ষা দেয়ার সাধ্য তার পরিবারের নেই। তাই সমাজের কোন হৃদয়বান ব্যক্তি বা শিশিরের পাশে দাঁড়ালেই তার শিক্ষা জীবন অব্যহত থাকতে পারে। নইলে অকালেই ঝরে পড়তে পারে এই অদ্যম মেধাবী মুখ।