নাটোর অফিস॥
সরকারী ইজারা নেই তার পরেও কোন ভাবেই থামছে না নাটোরের লালপুরে পদ্মানদীর জেগে ওঠা চর থেকে অবৈধভাবে বালু ও ভরাট উত্তোলন।পদ্মানদীর লক্ষীপুর ও তিলকপুর এলাকায় নদীর তীর রক্ষা বাঁধের পাশে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও প্রভাবশালীরা।
ফলে নদীর তীররক্ষা বাঁধ ও হাজার হাজার বিঘা ফসলি জমিসহ ৫টি গ্রাম নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে একাধিকবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পায়নি স্থানীয় ভুক্তভোগীরা। তবে এবার অবৈধ বালু ও ভরাট উত্তোলন বন্ধে গ্রাম পুলিশ পাহারার নির্দেশ দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
গত (২০মার্চ) লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আখতারের স্বাক্ষরিত একটি চিঠির মাধ্যমে ঈশ্বরদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়। ঈশ্বরদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ রঞ্জু বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন গত কাল ২৭ মার্চ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আখতারের স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে বালু উত্তলন বন্ধে গ্রাম পুলিশ পাহারার নির্দেশ দিয়েছে।’
চিঠি সূত্রে জানা যায়, ঈশ্বরদী ইউনিয়নের তিলকপুর ও লক্ষীপুর এলাকায় পদ্মা নদীর তীর রক্ষা বাঁধের পাশে এবং ফসলী জমিতে অবৈধভাবে বালু ও মাটি ভরাট উত্তোলনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে গ্রাম পুলিশের পাহারার নির্দেশ দেওয়া হয়।’
তিলকপুর গ্রামের আকতার হোসেন বলেন, লক্ষীপুর এলাকায় পদ্মা নদীর তীর রক্ষা বাঁধের রাতের অন্ধকারে এক্সেবেটর (ভেকু মিশিন) দিয়ে নদীর চর ও ফসলি জমি থেকে বালু ও ভরটা কেটে নিচ্ছে সেলিম রেজা ও তার ভাই অতিক। সেলিম রেজা ঈশ্বরদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আতিক স্থানীয় প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। মাঝে মধ্যেই বালু উত্তোলনের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে উত্তলনকারীদের মধ্যে গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এতে আমরা আতংকে রয়েছি।’
তবে স্থানীয়রা বলছে, গ্রাম পুলিশের পাহারা অমান্য করে রাতের অন্ধকারে নদীর তীর রক্ষা বাঁধের পাশে অবৈধভাবে প্রতিদিন ২০০ থেকে ৩০০ টাকা করে বালু উত্তোলন করছে ভূমিদস্যুরা।’
অভিযুক্ত ঈশ্বরদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজার বক্তব্য নিতে তার মোবাইল ফোনে (০১৭১৮৯৪৯৪৪৬) একাধিক বার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আখতার বলেন, পদ্মানদীর জেগে ওঠা চর থেকে অবৈধভাবে বালু ও ভরাট উত্তোলন বন্ধে সকল প্রকার চেষ্টা করা হচ্ছে।’