নাটোর অফিস॥
নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের মাড়িয়া তাঁতিপাড়া এলাকার লুৎফর রহমানের ছেলে সাহাবুল ইসলাম । সাহাবুলের বৃদ্ধ অসুস্থ্য পিতা, এক ছেলে, দুই মেয়ে ও স্ত্রীসহ ছয় সদস্য নিয়ে দিনমুজুরের কাজ করে জীবন ভালোই চলছিল তার। তবে হঠাৎ করেই পায়ে পচন রোগে আক্রান্ত হন দিনমুজুর সাহাবুল ইসলাম (৩৩)। একাধিক ডাক্তারের শরনাপন্ন হয়েও তারা রোগ নির্ণয় করতে পারেননি। তবে মাস দুয়েক আগে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের এক ডাক্তার বলেছেন অপারেশন করলে এখনো পা ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তার জন্য প্রয়োজন প্রায় লাখ খানেক টাকা। যা শুনে সাহাবুল এখন দিশেহারা। জীবন যুদ্ধে টিকে থাকা নিয়ে হতাশায় পড়েছেন তিনি। তিনি জানান, বছর দেড়েক আগে বাম পায়ের টাকনু ফুলে যায়। তারপর আস্তে আস্তে সেখানে ঘা হয়ে ক্যালসিয়াম বের হতে থাকে। পরে বেশ কয়েকজন ডাক্তার দেখালেও তারা রোগ নির্ণয় করতে পারেনি। এ দিকে একমাত্র উপার্জনকারী সাহাবুলের পায়ের সমস্য নিয়ে চলাফেরা বন্ধ হওয়ায় কাজ করতে না পেরে ৬ সদস্যের সংসারে নেমে আসে ঘোর আধার। এদিকে প্রায় দু’মাস আগে সাহাবুলের অবস্থা বেশি খারাপ হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে এক ডাক্তার জানান এখানো অপারেশনের মাধ্যমে পা ভালো হবার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে চিকিৎসা করতে প্রায় লাখ খানেক টাকা প্রয়োজন। সেই টাকা না থাকায় সাহাবুলের পরিবার তাকে চিকিৎসা না করিয়ে সেখান থেকে ফিরিয়ে আনেন। সাহাবুল বর্তমানে ক্র্যাচে ভর করে চলছেন। রোগ থেকে মুক্তি পেয়ে আবার কাজ করে পরিবার নিয়ে সুখে বাচার ইচ্ছা তার।
সাহাবুলের পিতা লুৎফর রহমান বলেন, আমি বৃদ্ধ মানুষ চলতে পারিনা আবার আমার স্টোকও করছে। এদিকে আমার ছাওয়ালডারো এই অবস্থা আমার ছাওয়ালসহ আমরা কি করে বাচবো জানিনা। আপনেরা যদি পারেন আমার ছাওয়ালডাক সুস্থ্য করার ব্যবস্থা করে দেন।
সাহাবুলের স্ত্রী তানিয়া খাতুন বলেন, অভাব অনটনের মধ্য দিয়েও আমাদের সংসার ভালোই চলছিল। তবে আমার স্বামীর এই অবস্থা হওয়ায় আমরা নিঃস্ব হয়ে পড়েছি। অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে কোন মতে বেচে থাকার যুদ্ধ করতে পারলেও স্বামীর চিকিৎসা করানোর মত এত টাকা আমাদের নাই। জানিনা স্বামীকে কি করে বাচাবো। প্রতিবেশী সাথি খাতুন বলেন, সাহাবুলদের পরিবার খুবই দুর্বিসহ জীবন যাপন করছে। যদি সাহাবুলের চিকিৎসা করানো যেত তবে পরিবারটা হয়তো বেচে যেত। তার পরিবারের পক্ষ থেকে সমাজের বিত্তবান ও সহৃদয়বান ব্যক্তির সহায়তা কামনা করে তার ব্যক্তিগত বিকাশ নম্বর ০১৭৩৮ ৩৪৭৬৪৩ – এ যোগাযোগের অনুরোধ করেছেন।