নাটোর অফিস ॥
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সোনিয়া খাতুন (৪০) নামে এক নারীকে হাত-পা মুখ বেঁধে পুকুরের মধ্যে ফেলে কাদা-পানিতে চোবানোর অভিযোগ প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে কনকনে এই শীতে বড়াইগ্রাম উপজেলার শ্রীরামপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নির্যাতিত সোনিয়া খাতুন উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের ফারুক হোসেনের স্ত্রী। এঘটনায় বড়াইগ্রাম থানায় মামলা হলে পুলিশ শনিবার রাতেই এজাহার নামীয় ২ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতা জের ধরে শনিবার সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ করেই ওই গৃহবধূ সোনিয়ার বাড়িতে চড়াও হয় প্রতিবেশী মেহেনাজ, মমেনা বেগমসহ আরো কয়েকজন মহিলা। এরপর সোনিয়াকে চুল ধরে টেনে হিঁচড়ে বাড়ির বাইরে নিয়ে যায় সেখানে তারা সোনিয়ার মুখের ভিতরে কাপড় গুঁজে দেয়। এরপর হাত পা বেঁধে পাশের পুকুরে ফেলে দেয়। ঘটনাটি দেখতে পেয়ে সোনিয়ার মেয়ে চিৎকার দিলে লোকজন এসে সোনিয়াকে উদ্ধার করে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এই ঘটনায় বড়াইগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে পরিবারের লোকজন জানায়।
সোনিয়া বেগমের মেয়ে জুথি খাতুন জানায় , কয়েকদিন আগেও তারা তার মাকে মারপিট করে। শনিবার রাতে মা বাড়ির পাশের নলকুপের পানি নিতে গেলে তারা সেখান থেকে চুলের মুঠি ধরে মারতে মারতে নিয়ে যায়। এসময় তারা মায়ের মুখে ওড়না ঢুকিয়ে হাত পা-বেঁধে পুকুরের কাদার মধ্যে ফেলে দেয়।
ঘটনার সাথে জড়িতদের সাথে যোগাযোগ করা যায়নি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বড়াইগ্রাম সার্কেল) মোঃ শরীফ আল রাজীব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এক নারীকে কাদার মধ্যে ফেলে নির্যাতন করার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ভুক্তভোগী সোনিয়া বেগমের সাথে প্রতিবেশী মমেনা বেগম, কাদরী বেগম ও মেহেনাজ বেগমের সাথে বিরোধ চলে আসছিল। কদিন আগে একটি লাউ গাছ কাটা নিয়ে বিরোধ বাধে তাদের মধ্যে। এবিষয় নিয়ে বিরোধের জেরে সোনিয়া বেগমকে নির্যাতন করা হয়। এঘটনায় ৩জনকে অভিযুক্ত করে বড়াইগ্রাম থানায় একটি মামলা হলে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। অন্যকে ধরতে পুলিশ চেষ্টা করছে।