নাটোর অফিস॥
লালপুরে একটি আম বাগান থেকে মাহমুদা শারমিন বিথী (৩২) নামে এক স্বাস্থ্যকর্মীর মৃতদেহ উদ্ধারের ১২ ঘন্টার মধ্যেই ঘটনার সাথে জড়িত নিহতের প্রেমিক মোঃ জাহিদ হাসান @সাদ্দাম (২৯)কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শুক্রবার রাতে বাড়াইগ্রামের আহমেদপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সাদ্দাম বড়াইগ্রাম উপজেলার কামারদহ গ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে। এর আগে শুক্রবার সকালে লাপুর উপজেলার লালপুর-বনপাড়া সড়কের তোফাকাটা (মধুবাড়ি) এলাকার একটি আম বাগানে ওই মরদেহ পাওয়া যায়। নিহত মাহমুদা শারমিন বিথী গোপালপুর পৌর এলাকার স্থানীয় মুক্তার জেনারেল হাসপাতালে চাকরি করতেন। তিনি উপজেলার এবি ইউনিয়নের বরমহাটি গ্রামের আমজাদ হোসেনের মেয়ে।
লালপুর থানার ওসি উজ্জল হোসেন জানান, নিহত বিথী প্রতিদিনের মত গত ২৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাত ৮টার মধ্যে বাড়িতে না ফেরায় তার পিতা আমজাদ হোসেন মেয়েকে খুজতে বের হন। খোজাখুজি করে কোথায় না পেয়ে বাড়ি ফিরে যান এবং পরদিন শুক্রবার সকালে লালপুরের গোপালপুর পৌরসভার অন্তর্গত তোফাকাটা মোড় সংলগ্ন রাস্তার পাশে আমবাগানে একজন মহিলার লাশ পড়ে থাকার সংবাদ পেয়ে আমজাদ হোসেন সেখানে গিয়ে মেয়ের লাশ সনাক্ত করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধারের পর নাটোর মর্গে প্রেরন করে। এসময় সিআইডির ক্রাইমসিন ইউনিটও ঘটনাস্থরে গিয়ে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে। পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলামের সার্বিক নির্দেশনায় পুলিশ রহস্য উদঘাটনে কাজ শুরু করে এবং মৃতদেহ উদ্ধারের ১২ ঘটার মধ্যে স্বাস্থ্য কর্মী বিথী হত্যাকান্ডের সাথে জাহিদ হোসেন সাদ্দাম জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে তাকে বড়াইগ্রামের আহমেদপুর থেকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাদ্দাম হত্যার ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে এবং তার দেখানো মতে ঘটনাস্থলের পাশের ঝোপ হতে হত্যার কাজে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তার সাদ্দামের সাথে ভিকটিম বিথীর দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক চলে আসছিল। এক পর্যায়ে ভিকটিম বিথী আসামি সাদ্দামকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সাদ্দাম অপারগতা জানিয়ে বিভিন্ন টালবাহানা করতে থাকে। ২৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় আসামি সাদ্দাম ভিকটিম বিথীকে কৌশলে ডেকে নেয় এবং গোপালপুর পৌরসভার তোফাকাটা মোড় সংলগ্ন রাস্তার পাশে আম বাগানে ভিকটিমকে ধারালো ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে ও গলা কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করে ফেলে রেখে যায়।
এঘটনায় ভিকটিমের পিতা মো: আমজাদ হোসেন বাদি হয়ে লালপুর থানায় এজাহার দায়ের করেছেন।