নাটোর অফিস॥
আমন ধান ঘরে এনে বাংলার কৃষকেরা যে বিশেষ অনুষ্ঠান পালন করেন, তা নবান্ন উৎসব নামে পরিচিত। ‘নবান্ন’ শব্দের শাব্দিক অর্থ নব অন্ন। অগ্রহায়ণ-পৌষে কৃষিজীবী মানুষ ঘরে ঘরে প্রথম ধান তোলার পর সেই নতুন চালের দিয়ে তৈরি পিঠা-পায়েস-মিষ্টান্ন সহযোগে উৎসবটি পালন করে।
নাটোরের বড়াইগ্রামে সকালে ধান কাটা, পিঠার আয়োজন ও আলোচনা সভার মাধ্যমে এই নবান্ন উৎষব পালন করা হয়েছে। সোমবার সকাল সাতটার দিকে উপজেলার গোপালপুর এলাকায় উপজেলা কৃষি সম্পসারন অধিদপ্তর এই কর্মসূচীর আযোজন করে। প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা প্রশাসক আবু নাসের ও বিশেষ অতিথি হিসেবে পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম ধান কেটে এই কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন শেষে বিভিন্ন ধরনের গ্রামীন পিঠা ও খাবার পরিবেশন করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু রাসেলের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃত করেন উপজেলা কৃষি কর্মকতা কৃষিবিদ শারমিন সুলতানা। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন জেলা কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তর নাটোরের উপ-পরিচালক আব্দুল ওয়দুদ, সহকারী কমিশনার (ভুমি) বোরহান উদ্দিন মিঠু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ আল রাজীব, গোপালপুর ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু বক্কর সিদ্দিক, ওসি শফিউল আজম প্রমূখ।
আলোচনা সভায় কৃষি কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা জানান, উপজেলার গোপালপুর এলাকায় ১৫০ বিঘা জমির জন্য ৫০জন কৃষকের মাঝে বীজ ও চার হাজার বীজ তৈরীর ট্রে সরবরাহ করা হয়। তারা ১৮ দিনেই সেই চারা রাইস প্লান্টারের মাধ্যমে রোপন করেন। ১২০ দিনেই তারা কম্বাইন্ড হার্ভেষ্টারের মাধ্যমেই আবার কর্তন করেন। এতে কৃষকের প্রতি বিঘাতে ১০ থেকে ১৫ দিন সময় ও ২২’শ থেকে ২৫’শ টাকা কৃষকের সাশ্রয় হয়।
কৃষক আব্দুস সালাম বলেন, কৃষি অফিসের সহযোগীতায় আমরা প্রযুক্তির মাধ্যমে এই ধান চাষ করি। এতে আমাদের সময় ও খরচ কম হয়েছে। আমাদের যে শ্রমিক সংকট হয়েছিল তা লাঘব হয়েছে।
পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম বলেন, বাংলা অতি প্রাচীন উৎসব নবান্ন উৎসব। আমাদের দেশের প্রান হচ্ছে কৃষক। কৃষকের এই উৎষবে যোগ দিতে পেরে আমি আনান্দিত। কৃষকের যোক প্রয়োজনে আমরা সর্বদা পাশে আছি।
জেলা প্রশাসক আবু নাসের বলেন, স্মার্ট বাংলদেশে কৃষকও হবে স্মার্ট । সেই লক্ষ্যে আমরা কৃষকদের বিভিন্ন যন্ত্র দিয়ে কৃষকের পাশে থাকছি। ভবিষতে এই ধরনের কর্মকান্ডে আমাদের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগীতা করা হবে।