নাটোর অফিস॥
রাজশাহী থেকে চিলাহাটিগামী আন্তনগর বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়ে নাটোরের ইয়াসিনপুর-মালঞ্চি স্টেশনের মাঝপথে প্রায় সাড়ে তিনঘন্টা পড়ে ছিল। শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে ইয়াছিনপুর স্টেশন থেকে ৩ কিলোমিটার এবং মালঞ্চি স্টেশন থেকে ৪ কিলোমিটার দুরে স্বরপপুর লেভেল ক্রসিংয়ের কাছে ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। এসময় নাটোর স্টেশনে অন্তত ৪টি ট্রেন আটকা পড়ে। এই সময় নাটোর থেকে ঢাকা,রাজশাহী,খুলনার মধ্যে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে মাঝপথে পড়ে থাকা বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেন সহ নাটোর স্টেশনে আটকা পড়া ট্রেনের শত শত যাত্রিদের সীমাহিন দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। প্রায় দুই ঘন্টা পর পঞ্চগড় থেকে রাজশাহীগামী বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন গিয়ে মাঝপথে পড়ে থাকা বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেনকে নাটোর স্টেশনে নিয়ে আসে। এসময় নাটোর স্টেশনে আটকা পড়া কয়েকটি ট্রেন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঈশ্বরদী থেকে একটি ইঞ্জিন এসে বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে নিয়ে চিলাহাটির উদ্দেশ্যে নাটোর ছেড়ে যায়।
স্বরাপপুর লেভেল ক্রসিংয়ে দায়িত্বরত গেইট ম্যান শরিফুল ইসলাম জানান, গাড়িটি নাটোরের দিকে আসার সিগনাল পাওয়ার ক্রসিং নামিয়ে দেই। কিন্তু গাড়িটির ইঞ্জিন বিকল হওয়ায় লেভেল ক্রসিয়ের ওপর এসে থেমে যায়। এসময় ঘটনা জানার পর নাটোর স্টেশনকে বিষয়টি অবহিত করি। পরে নাটোরের দিক থেকে অন্য একটি ইঞ্জিন এসে গাড়িটিকে টেনে নিয়ে যায়।
ট্রেনের যাত্রিরা জানায়,তারা রাজশাহী থেকে ট্রেনে ওঠেন। পথের মধ্যে ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হওয়ায় পথের মধ্যেই প্রায় ৩ ঘন্টা পড়ে থাকতে হয়েছে। এসময় ভোগান্তি সহ অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয় তাদের।
ট্রেনের গার্ড বা পরিচালকের সাথে কথা বলতে চাইলে তারা কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান।
নাটোর স্টেশনে কর্মরত স্টেশন মাষ্টার রেজাউল করিম জানান, খবর পাওয়ার পর ঈশ্বরদীতে জানানো হয়। উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পাওয়ার পর ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন গিয়ে বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে নাটোরে নিয়ে আসার পর লাইন ক্লিয়ার হয়। এই সময় পঞ্চগড় থেকে আসা রাজশাহীগামী বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস, ঢাকাগামী পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেন ও আরো দুটি লোকাল ট্রেন নাটোর স্টেশনে আটকা পড়ে। বরেন্দ্র ট্রেনকে নাটোর আনার পর লাইন ক্লিয়ার হলে আটকাপড়া ট্রেনগুলো গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঈশ্বরদী থেকে ইঞ্জিন আসার পর বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেন চিলাহাটির উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।