নাটোর অফিস॥
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় ফজলুর রশিদ (৩৯) ও নাইচ বেগম (৪০)নামে দেবর-ভাবির আক্মিক মৃত্যু হয়। সোমবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান সবজি বিক্রেতা ফজলুর রশিদ । তার মৃত্যুর খবর পেয়ে ঢাকা থেকে রওনা হন মৃতের বড় ভাই বজলুর রশিদ ও তার স্ত্রী নাইচ বেগম। কিন্তু রাত ২টার দিকে পথিমধ্যে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান মৃতের ভাবি নাইচ বেগম। একই পরিবারে দেবর ভাবির মৃত্যুতে গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার বেগুনিয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে ফজলুর রশিদ সোমবার রাত পর্যন্ত তমালতলা হাটে সবজি বিক্রি করেছেন। রাত ১০টার দিকে বাড়ি ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। দ্রুত স্থানীয় পল্লী চিকিৎসককে খবর দিলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসক এসে তাকে মৃত ঘোষনা করেন। হার্ট অ্যাটকে ফজলুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানান ওই চিকিৎসক। এদিকে ঢাকার একটি প্রাইভেট কোম্পানীতে চাকরি করার সুবাদে সেখানেই থাকেন ফজলুর বড় ভাই বজলুর রশিদ। ছোট ভাইয়ের মৃত্যুর খবর মোবাইল ফোনে পেয়ে স্ত্রী নাইচ বেগমকে সাথে নিয়ে বাড়িতে আসার জন্য রওনা হন। বজলু তার স্ত্রীকে ভাইয়ের মৃত্যুর খবর না জানিয়ে বাড়ীতে সমস্যার কথা বলে ঢাকার বাসা থেকে বের হন। হঠাৎ এভাবে রাতে বাড়ীর উদ্দেশ্যে যাওয়ার কথা শুনেই নাইচ অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থ অবস্থায় বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা হন তারা। পথিমধ্যে গাজীপুরের কালিয়াকর এলাকার চান্দ্রা বাইপাস এলাকায় আসার পর নাইচ বেগমের বুকে ব্যাথা শুরু হয়। পরে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসক না থাকায় তাকে অন্য একটি প্রাইভেট হাসপালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। নাইচ বেগমের আগে থেকেই হার্টের রোগ ছিলো, আর সেকারণেই তাকে প্রথমে ফজলুর মৃত্যুর খবর না জানিয়েই ভাড়া বাসা থেকে বের হন বজলুর রশিদ বলেও জানা যায়। পরে মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) সকালে নাইচের লাশ বাগাতিপাড়ার বাড়িতে আনা হয়। একই পরিবারের দেবর ভাবির মৃত্যুর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে স্থানীয় পাঁকা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন বলেন, মঙ্গলবার দুপুর ২টায় স্থানীয় স্কুল মাঠে মৃত ফজুলুর রশিদ ও নাইচ বেগমের জানাজা শেষে বেহুনিয়া সামাজিক গোরস্থানে তাদের মরদেহ দাফন সম্পূর্ণ হয়েছে।