নাটোর অফিস॥
নাটোরের জংলী হামিদিয়া ফাযিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ জালাল উদ্দিনকে গালি দিতে নিষেধ করায় অফিস সহকারীকে বেধরক পেটানোর অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও তার বাবা সাবেক সভাপতি হাসেম ব্যাপারীর বিরুদ্ধে। এঘটনায় সোমবার দুপুরে ভুক্তভোগী অফিস সহকারী মোস্তফা কামাল নাটোর সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। মাদ্রাসা সভাপতি সাইফুল ইসলাম এবং তার বাবা হাশেম ব্যাপারী আওয়ামী লীগের রাজণীতির সাথে জড়িত।
নাটোর সদর থানায় দেয়া লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জংলী হামিদিয়া ফাযিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসায় রোববার দুপুরে এনটিআরসি’র মাধ্যমে ৯জন শিক্ষক নিয়োগ হয়। এ সব শিক্ষকদের নিকট থেকে আদায় করা টাকা অধ্যক্ষ মাদ্রাসার কাজে ব্যবহারের কথা বললেও সভাপতি রাজি না হয়ে তাকে দিয়ে দিতে বলেন। বিষয়টি নিয়ে এক পর্যায়ে সভাপতি অধ্যক্ষকে গালাগালি করেন। এ সময় অফিস সহকারী বিষয় গুলো নিয়ে অধ্যক্ষকে গালাগালি না করে আলোচনা করার জন্য সভাপতিকে পরামর্শ দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও তার বাবা সাবেক সভাপতি হাসেম ব্যাপারী অফিস সহকারী মোস্তফা কামালকে মারপিট করেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি সোমবার দুপুরে নাটোর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ উঠেছে জংলী হামিদিয়া ফাযিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসার সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও অধ্যক্ষ মাওলানা জালাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে নিয়োগপ্রাপ্ত এনটিআরসি’র ৯ শিক্ষকের কাছে থেকে মাদ্রাসায় যোগদানের পুর্বে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জংলী হামিদিয়া ফাযিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসার সভাপতি সাইফুল ইসলাম দাবী করেন তাকে মারপিট করা হয়নি। আমার বৃদ্ধ বাবা যার দেয়া জমির ওপর এই মাদ্রাসা তাকে উদ্দেশ্য করে অশালীন ভাষায় কথা বলা নিয়ে দুজনার মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়েছে। যা পরবর্তীতে তারা আপোষ করে নিয়েছেন। অফিস সহকারীর সাথে তাদের পারিবারিক দ্বন্দ্ব রয়েছে এবং অফিস সহকারী বিএনপি রাজনীতির সাথে জড়িত বলেও তিনি দাবী করেন।
অফিস সহকারী মোস্তফা কামাল থানায় অভিযোগ করার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আপোষ নয়, তিনি এ ঘটনার উপযুক্ত বিচার চান। এর আগে সাবেক সভাপতি হাসেম ব্যাপারী আরো তিন বার এই মাদ্রাসায় শিক্ষকদের সাথে এমন মারপিটের ঘটনা ঘটিয়েছেন বলেও তিনি দাবী করেন।
জংলী হামিদিয়া ফাযিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা জালাল উদ্দিন নিয়োগপ্রাপ্ত এনটিআরসি’র ৯ শিক্ষকের কাছে থেকে টাকা নেয়ার অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও বানোয়াট দাবী করে বলেন, রোববার সভাপতি ও অফিস সহকারীর মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি নিয়ে তর্কতির্ক হয়। আগের দিনের ওই অনাকাংক্ষিত ঘটনাটি সোমবার বিকেলে তিনি ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও তার বাবা সাবেক সভাপতি হাসেম ব্যাপারী এবং অফিস সহকারী মোস্তফা কামাল ও তার বড় ভাই আব্দুল লতিফকে নিয়ে বসে ঘটনাটি আপোষ করে দিয়েছেন।
নাটোর সদর থানার ওসি নাছিম আহম্মেদ বলেন, পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে মিটিং এ থাকায় অভিযোগের বিষয়টি তার জানা নেই। ঘটনা জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।