নাটোর অফিস ॥
নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের জিগরী উচ্চ বিদ্যালয়ের নলকূপের পানি পান করে দুই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে শিক্ষার্থীদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। ইসরাত জাহান মেঘলা এবং রহিমা আক্তার রিতু নামে অসুস্থ ওই দুই শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তাদের পাকস্থলি ওয়াশ করা হয়। তারা দুজনেই ওই বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার সকালের দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরই স্কুল ছুটি দেয়া হয়েছে। ঘটনার পর পুলিশ এবং উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের কর্মকতারা স্কুল পরিদর্শন করেন। পরে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ ওই নলকুপের পানির নমুনা সংগ্রহ করে। শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান মেঘলা উপজেলার ক্ষিদ্র মালঞ্চি এলাকার আরিফুল ইসলামের মেয়ে এবং রহিমা আক্তার রিতু রুবেল আলীর মেয়ে। খবর
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লোকমান হোসেন জানান, ইসরাত জাহান মেঘলা এবং রহিমা আক্তার রিতু নামে উপজেলার জিগরী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর দুই শিক্ষার্থী মঙ্গলবার সকালে স্কুলের নলকুপ থেকে পানি পান করলে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। দ্রুত তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। এসময় তাদের পাকস্থলি ওয়াশ করা হয়। পরে আমি থানা পুলিশ সহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরকে আবগত করি এবং অসুস্থ হওয়া দুই শিক্ষার্থীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠায়।
অসুস্থ শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান মেঘলা জানান, পিপাসা লাগলে আমরা দুই বান্ধবী মিলে বিদ্যালয়ের টিউবওয়েল চেপে পানি পান করি। পানি পান করার কিছু সময় পর তাদের হাত বুক জ¦ালা এবং পেট ব্যাথা করতে লাগলে তাদের সন্দেহ হয়। তারপর পুনরায় ওই টিউবওয়েল চেপে পানি বের করে লক্ষ করে পানির রং ভিন্ন এবং পানির সাথে কিছু একটা বের হচ্ছে। তারপর তারা প্রধান শিক্ষককে অবগত করলে শিক্ষক তাদের বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন।
অসুস্থ শিক্ষার্থী রহিমার মা জানান, কে বা কারা বিদ্যালয়ের টিউবওয়েলের ভেতরে বিষ মিশিয়ে রেখেছে। সেই পানি পান করে আমার মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। ওই টিউবওয়েল থেকে সাদা রংয়ের কিছু বের হচ্ছে এবং পানিতে দূর্গন্ধও রয়েছে।
বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে চিকৎসক ডাঃ নিশাত তাছনিন বলেন, ওই দুই জন শিক্ষার্থীকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদানের পর হাসপাতালে ভর্তি করে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
বাগাতিপাড়া মডেল থানার ওসি শফিউল আযম খান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।