নাটোর অফিস॥
নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) আসনে উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চান সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সুব্রত কুমার কুন্ডু।তিনি আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য।গতকাল ১১ সেপ্টেম্বর দলীয় মনোনয়ন ফর্ম উত্তোলনের প্রথম দিনে ধানমন্ডি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন তিনি।
ব্যরিস্টার সুব্রত কুমার কুন্ডু গুরুদাসপুর উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের হামলাইকোল এলাকার বাসিন্দা ও একই এলাকার লক্ষীকান্ত কুন্ডু এর ছেলে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ব্যরিস্টার সুব্রত কুমার কুন্ডু ২০০০ সাল থেকে ২০০৪ পর্যন্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তিনি আওয়ামী আইন ছাত্র পরিষদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি।এছাড়া আইন পেশার শুরুতে আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ যুক্তরাজ্য শাখার এমপ্লয়মেন্ট সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।দেশে ফিরে আইন পেশায় যোগ দিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামী আইন ছাত্র পরিষদ এবং ছাত্রলীগের সাবেক কর্মীদের নিয়ে আইনজীবীদের সংগঠন ‘শপথ-৭১’ এর সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবি পরিষদ সদস্য।সর্বশেষ ২০২২-২৩ মেয়াদে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কার্যকরী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
ব্যরিস্টার সুব্রত কুমার কুন্ডু দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে আওয়ামী আইনজীবীদের মধ্যে পরিচিতি মুখ।রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন প্রগতিশীলতার পক্ষে অবস্থান নিয়ে জামাত-শিবিরের বিরুদ্ধে শক্তিশালী সাংগঠনিক
অবস্থান তৈরি করেন তিনি। গত এক দশকে আইন অঙ্গনে বিএনপির বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকে আওয়ামী লীগের পক্ষে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।তিনি আইন অঙ্গনের প্রতিটি নির্বাচনে আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের পক্ষে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন যার ফলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিভিন্ন পদে বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা পরাজিত হয়। এছাড়া দেশের বাইরেও আওয়ামী লীগের পক্ষে জনমত গঠনে কার্যকর ভূমিকা রেখে চলেছেন।
তরুণ আইনজীবী ব্যরিস্টার সুব্রত কুমার কুন্ডু নাটোর-৪ আসনের উপনির্বাচনে অংশগ্রহন প্রসঙ্গে বলেন, এই আসটি জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের আসন হিসেবেই পরিচিত।বারবার এই আসনের ভোটাররা নৌকাকে ভোট দিয়ে তাদের সেবার দায়িত্ব দিয়েছে।আমাদের প্রয়াত সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুস দীর্ঘদিন এই আসনের এমপি ছিলেন।তাই এখানে অনেক নেতৃত্ব তৈরি হলেও শেষ পর্যন্ত বিকাশিত হয়নি।এখন সময় এসেছে সংসদে এই আসনের মানুষের নেতৃত্বের পরিবর্তন করা।এক পরিবারের কাছে নেতৃত্ব সবসময় থাকলে কর্মীরা দল বিমুখ হতে পারে।আগামী দিনগুলোতে দেশে রাজনীতিতে যে বহিঃস্থ চাপ ও প্রতিক্রিয়াশীল রাজনৈতিক বলয়ের প্রভাব আসতে চলেছে তা মোকাবিলায় তরুণদের সুযোগ দিতে হবে।যারা জনগনের মাঝে গ্রহনযোগ্য তাদের সুযোগ দিতে হবে।
সুব্রত কুমার আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে লক্ষ্য দেশের মানুষের কল্যানে কাজ করে যাচ্ছেন, আমি এই আসনের জনগনের প্রত্যাশা পূরণে সেই কাজকে তরান্বিত করতে ভূমিকা রাখতে পারবো বলে আশাবাদী।তাই এ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেছি।আমার বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভাপতি আমাকে সে সুযোগ দেবেন।